। জবরদখল।


কটা মানুষ থাকবে বলে দখল হলো কিছু মাটি,মাটির থেকেই।
উপড়ে ফেলে গাছগাছালি , ভিত নেমে যায় পাতালপানে,
আকাশ জানে কদিন বাদেই চুমো খেতে আসবে বাড়ি,
কোটি টাকার হাতবদলে মেঘরা নতুন পড়শি পাবে।
পাট্টা এবং দলিলজুড়ে গর্বিত হাত ফেলবে লিখে,
হাজার পাঁচেক স্কোয়ারফুটে  নিবাস করেন অমুকবাবু,
বারান্দাতে দাঁড়িয়ে দেখেন গোটা শহর বিন্দুমাফিক,
খেলনা ট্রাফিক যাচ্ছে কালো ফিতের মতন রাস্তা ধরে।
মালিক বলে সে কি খাতির, ফ্ল্যাটের পুজোয় সভাপতি,
দু এক জনে কপাল করে পেগ ঢালে তাঁর বসার ঘরে,
শোয়ার ঘরের জানলা দিয়ে দেখেন রাণী আপনমনে
খুব কাছে এক বকের সারি হোঁচট খেলো ওড়ার পথে,
আগের বারে যখন গেছে , তখন এটা ছিলো না তো,
হঠাৎ করে এখন সটান বিন্ধ্য যেমন মাঝভারতে,
তেমনি করে দাঁড়িয়ে আছে আকাশটাকে দখল করে
অগত্যা তাই বাসার দিকে অনেকটা ঘুরপথেই যাওয়া।
দেখবে রাণী , দেখবে রাজা, মালিক যারা মেঘ কিনেছে,
শহর চেনে একডাকে সেই নাম যারা এই প্রাসাদবাসী...


শুদ্ধু যে সব বুলবুলি আর হাঁড়িচাচা থাকতো গাছে,
ঘাসের গায়ে যে সব ফড়িং করতো শিকার ছোট্ট পোকা,
ভীষণরকম ঝগড়া ছিলো যে ছাতারে, কাকের দলের
এবং সে সব কাঠবিড়ালী, নিহত গাছ যাদের ছিলো সাতপুরুষের বাস্তুভিটে,
হেরে এবং হারিয়ে গিয়ে নালিশ জানায় তারা কোথায়,
কোন আদালত করবে বিচার জন্মভূমি বেদখলের,
খুঁজবে তারা কোন ঠিকানা, কুড়ুলবিহীন অলীক জগত,
কোনো সবুজ ট্রাইবুনালে পক্ষে তাদের যাবে কি রায়?


তা জানি না, দেখছি শুধু সূর্য রেগে গরম বাড়ায়...


আর্যতীর্থ