। জমানো কথা।


রোজ আসা গোধূলির কোনো একটাতে
তোমার আমার কিছু কথা ভরে রেখে দেবো
কখনো একাকী হলে ষড় করা কোনো এক আগামীর হাতে
নিরালায় ঝাঁপি খুলে তোমায় আবার খুঁজে নেবো।
হয়তো তখন তুমি অন্য কোথাও গেছো এ হাত ছাড়িয়ে,
যে অচিন দেশে গেলে পৌঁছখবর দেওয়া নয় দস্তুর
খুঁটিনাটি কথাদের ঘরে ডেকে নেবো আমি দুহাত বাড়িয়ে,
দেখবো কেমন করে রোজনামচার থেকে যাও কদ্দুর।
অথবা রয়েছো তুমি অবয়বে অবিকল সামনে আমার
মগজের কোনো ব্যাধি আমাকে লোপাট করে দিলো বেমালুম,
কপালে ছোঁয়ালে হাত ঘোলাটে দৃষ্টি কোনো অপরিচিতার,
স্মৃতিহীন জীবনের নির্বাক দিনগুলো ঝিমায় নিঝুম।
তখন গোধূলি এলে পশ্চিমা জানলার পর্দা সরাবো,
অনাবিল রোদ্দুর অতীতযাপনকথা বলবে নিভৃতে,
এতাবত জমে থাকা স্মৃতির মোহরগুলো দুহাতে ছড়াবো,
দুজনের ভূমিকায় অভিনয় করে যাবো নতুন রীতিতে।
এসব কল্পকথা, এতদূর ভাবীকাল ভাবা ভালো নয়,
তার চেয়ে ভেবে রাখি ঘটমান সময়ের নানা গোলোযোগ,
তুমুল ঝগড়া শেষে ফোনেরা নিরুত্তর যেসব সময়,
তুমিহীন ঘরে ফিরে বেগতিক সংসারে ঘোর দুর্ভোগ।
তুমি ভাবো সে সময় আমি বুঝি মন থেকে ভালবাসা মুছি
কথারা গায়েব হলে মনগড়া ভেবে নিতে ব্যাপক সুবিধে,
ঝগড়ার যুক্তিতে জানি আমি পুরোপুরি উল্টো বলেছি
মোল্লার দৌড় জেনো হম্বিতম্বি শেষে থামে মসজিদে।
আমি তাই রোজকার নিপাট গোধূলি জুড়ে কথা ভরে রাখি
নিটোল মুহূর্ত কিছু কেটেছেঁটে রেখে দিই দুজনের মাপে
যদি কোনো আগামীতে ইচ্ছে অনিচ্ছায় দিতে চাও ফাঁকি
মঞ্চ জমিয়ে দেবো দুজনের ভূমিকায় একা সংলাপে।


আর্যতীর্থ