।জন্নত অথবা...।


ব্যস্ততা বেড়ে গেলে কথাগুলো ক্ষয়ে যায় ব্যস্তানুপাতে,
কাজের প্রবল ঢেউ মন নিয়ে চলে যায় ক্রমশ তফাতে।
অভ্যাসে যদিও বা দেখা হয়,
চোখ তবু উদাসীন একা হয়,
জীবন ধরতে পারে কোথায় কতটা ফাঁকি হয় হাতেনাতে।


কথারা অসাড় হলে ভাবনারা ধারণাকে নেয় গড়েপিটে ,
স্মৃতি আর বাস্তব ফারাকে পাঁচিল ওঠে কল্পনা ইঁটে।
প্রেম নেই ধরে যদি মন
টলোমলো ভিতও তখন,
মসৃণ যাপনের তকতকে ত্বক জুড়ে নানারঙা পড়ে কালসিটে।


রোজনামচার পুরো পাতাটাকে  ক্রমে গেলে কাজরাক্ষস,
হিসেবী চাবুক পড়ে বাকি বাঁচাটুকু করে নীরবে আপোষ
তারপরে, কোনো এক প্রান্তিক সন্ধ্যায়
আচমকা কথাদের মুখ খুলে যায়,
আছড়িয়ে পড়ে ঝড়, অভিযোগী জিভে উঠে আসে আক্রোশ।


কাজদাস মানুষের এ সময়ে খোলা থাকে শুধু দুটো পথ,
সম্পর্কে ছাই দিয়ে কাজের জোয়াল মুখে গাওয়া বাঁধা গত।
অথবা সময় খুঁজে প্রেম ফের বোঝা
দুজনের সাঁকো হওয়া কথাদের খোঁজা,
আবার আউড়ে নেওয়া একসাথে চলবার হারানো শপথ।


ওহে ব্যস্তবাগীশ, ভেবে নাও কোন পথে পাবে জন্নত...


আর্যতীর্থ