। যুদ্ধ ও কবিতা।


করতলে শব্দ লুকিয়ে রেখেছি কিছু, কবিতার ভানে।
উষর এ ভূমিতে বহুদিন নির্বাসিত ফুল আর পাখি।
রঙ নেই কোনো, ধুসর যুদ্ধ শুধু এদিকে ওদিকে ছোটে হত্যার সন্ধানে।
আঁজলায় শব্দ ধরেছি, মুঠো খুলে দিলে ওরা মরে যাবে নাকি?


গুলির আওয়াজে কোনো ছন্দ হয়না। মৃতদেহ কবিতা বোঝেনা।
আশেপাশে ধ্বংসস্তুপ, নিস্পৃহ বোমা পড়ে মাটি কেঁপে ওঠে।
মানুষের অবয়বে ছায়ামূর্তিরা ঘোরে, ধর্ষিত ,প্রায়মৃত, এখানে কবিতা অচেনা,
ত্রাণায় মন্ত্ররা অজপায় উঠে আসে ঠোঁটে।


ভয়ে ভয়ে হাত মেলে দিই, কথাদের ভাসাই বাতাসে।
শব্দেরা উড়ে যায় ভগ্নাংশ হয়ে যেতে থাকা সভ্যতার দিকে।
প্রায় মরে যেতে যেতে হেরে যাওয়া মনগুলো হঠাৎ তাকায় চারপাশে,
জ্বলন্ত পাঁজরায় ফের বেঁচে উঠবার শপথ কে যেন দেয় লিখে।


কবিতা খোদাই হয়, প্রতি আখরের সাথে গুলির আওয়াজ ক্রমে হতে থাকে ফিকে....


আর্যতীর্থ