। জুজুতন্ত্র।


রাজারাজড়ারা আজ প্রায় ধরো অতীতই
ইতিহাস নিলো গিলে তাঁদেরকে ঝটিতি
দুচারটে দেশে যাঁরা জ্বলে যান টিমটিম
বস্তুত তাঁরাও তো ক্ষমতার অতিথি।


সুতরাং এমনটি  করা হয় দাবি হে,
জনতার হাতে আজ ক্ষমতার চাবি হে
চারদিকে বয়ে চলা ঘটনার প্রবাহে
কতটা সত্যি সেটা তোলে ভারী ভাবিয়ে।


সীমাহীন লোভ ঢুকে ক্ষমতার অন্ত্রে
শাসকরা তেল দেয় শোষণের যন্ত্রে
লংকাতে সব্বাই বদলায় রাবণে
গণ নয়, মন ঢেলে দেয় জুজুতন্ত্রে।


জুজু আছে চারদিকে ধর্মে ও কর্মে
ভোট চাওয়া নাপসন্দ প্রার্থীর ফর্মে
মাথা তুলে দেখলেই জুজু আসে সামনে,
ভয় যেন জেগে থাকে প্রজাদের মর্মে।


কে তুই? ধর্ম কি? আল্লাহ না রামেতে?
জুজু আছে দুতরফে নানাবিধ নামেতে।
ওই শোনো ফিসফিসে জুজু ভয় দেখালো
দাঙ্গা লাগছে নাকি ডাইনে ও বামেতে।


জুজুবুড়ি আছে সব রাজনীতি নিশানেই
কার লাঠি কার মাথা ভোট এলে দিশা নেই
জুজুবুড়ি ঘরে ঘরে দিয়ে যায় ধমকি
যাই করো ভোট দিয়ে যেও ঠিক এখানেই।


জনতার দুর্ভোগে নেই কোনো অন্ত
জুজু রোজ বার করে তার নখ দন্ত
ভয়ে কেঁপে বেঁচে যাওয়া দস্তুর যেখানে
সেখানে চলছে জেনো ঘোর জুজুতন্ত্র।


আর্যতীর্থ