। জুতো।


জুতোটা পুরোনো হয়েছে। সাতভাঁজ পড়ে গেছে তার চামড়ায়,
শুকতলা খুঁজলেই পাওয়া যাবে অমোঘ ফাটল নানা সময়হোঁচটে,
ফেলে দেওয়া যাবে কিনা, মাঝে মাঝে সেরকম মনে হয় বটে,
কিন্তু নতুন জুতো! ভয় লাগে , শুনেছি সে ভারী কামড়ায়।


সুতরাং এ জুতোই যতনে পালিশ করে চলি দৈনিক, অভ্যাসমতো।
কেউ নাক কুঁচকায়, তির্যকে কেউ বলে ‘ আর কতদিন?’
তারা তো বোঝেনা এই জুতোদের বাইরেটা হয়তো মলিন,
আমার এ পা জোড়া যেকোনো সফরে ওরা রাখে অক্ষত।


মাঝে মাঝে দুচারটে সেলাই ছেঁড়ে, উঠে আসে পেরেকের মুখ,
মুচিদের কাছে যাই । আমার অবস্থা দেখে চিন্তিত তারা,
বলে আহা, নির্ঘাত পথেঘাটে বড়ই কষ্টে হাঁটে পথিক বেচারা,
কি করে বোঝাই বলো, এ জুতোয় লেখা কত স্মৃতিদের সুখ।


সাতভাঁজ হয়ে যাক, শুকতলা ক্ষয়ে যাক, তার সাথে এ সফর চলতে থাকুক।


আর্যতীর্থ