। কালবোশেখি।
খটখটে ওই আকাশ জ্বলে পুড়ন্ত রোদ্দুরে,
ভাবছে কখন ডুবকি দেবে মেঘের সমুদ্দুরে
গ্রীষ্মকালীন বাতাস লেগে কম্প দিয়ে জ্বরে
মেঘনারীকে পত্র লেখে, কম্পিত অক্ষরে।
কই গেলি সই , বুকের ভেতর বিরহী মন ধুধু
অষ্টপ্রহর আগুন তোকে মনে করায় শুধু
ওপর নিচে আগুন জ্বলে পঞ্চতপার মতো
বৃষ্টি এসে কপাল ছুঁলে রোগ উপশম হতো
সূর্যপোড়া দিনগুলোতে খুঁজে বেড়াই সুখ
আঁধারকালো পেঁজা কেশে ডুববে কবে মুখ?
মেঘনারী তো জানো সবাই কেমন অভিমানী,
কথায় কথায় দুচোখ ঝেঁপে গাঙভাসানো পানি।
কদিন আগেই শরত শেষে মেঘবিদায়ী দিনে,
বললো আকাশ থাকবে ভালোই মেঘের ছোঁয়া বিনে
যেমনি ব্যাটার গা পুড়েছে দাবদাহের জ্বরে,
আদেখলাটার মেঘনারীকে অমনি মনে পড়ে
সোহাগকথার রকম দেখো! আবার বলে সই,
হুহুঙ্কারে কন্যা বলেন, ঝড় বিদ্যুৎ কই?
মেঘের নারী তবুও আসে চিঠি পাওয়ার পর
সঙ্গে করে নিয়ে আসে দুয়ারভাঙা ঝড়।
আকাশ জুড়ে উথালপাথাল, বৃষ্টি আসে ঝেঁপে
যেমনটি হয়, শান্তশিষ্ট হঠাৎ গেলে খেপে।
জ্বর নামলে আকাশ ভাবে এ কোন নারী দেখি
মেঘরমণী পাল্টেছে নাম, এখন সে বোশেখি।
আর্যতীর্থ