। কালিদাস।
ছেচল্লিশ হাজার কোটি। বরাদ্দ তা ডিফেন্স সরঞ্জামে।
শূন্য আছে হে বলো কটি ? ভাবলে কপাল ভেজে ঘামে।
আসছেন আধুনিক শস্ত্র। প্রতিবেশী ভয়ে কেঁপে যাবে।
আড়চোখে মাপ নেবে মস্ত । লালচোখে কেউ ক্ষেপে যাবে।
বিরুদ্ধে বলবে কথা কেউ? দ্রোহীতার দোষ যাবে লেগে ।
পেছনে লাগতে পারে ফেউ, বাড়ি বয়ে কালি যাবে দেগে ।
তার চেয়ে চুপ থাকা ভালো ,নীরবতা শান্তি তো কেনে,
রয়েছে সীমানা টলোমলো, দেশহিতে তাই নেওয়া মেনে।
কিন্তু প্রশ্নরা থেকে যায়। নিরীহ নিপাট ভালো মনেতেও।
যেই দেশ এ অস্ত্র বেচে খায়, প্রযুক্তি কোনভাবে জানে ও?
শিক্ষার খাতে কত ব্যয় তার? আমাদেরই মতো সেটা নাকি?
স্কুলে কত বাচ্চারা যায় তার? সাক্ষর হতে কত বাকি?
ব্যাপারটা বিশদেই বলা যাক। বাচ্চারা কারিগর আগামীর।
দেশ যদি আধপেটা খায় খাক। স্কুলগুলো হওয়া চাই ঠাসা ভিড়।
যত কচি স্কুল যাবে আজ যে, ভাবীকালে তারা হাল ধরবে,
যা কিছু মেলে ভিনরাজ্যে, তার চেয়ে আরো ভালো গড়বে।
তা নইলে সবকিছু ফক্কা। ঝোল চেটেপুটে খাবে বিদেশী।
যতই বাজাও ভোটে ঢক্কা। তফাত হবে না কোনো বিশেষই।
হাজার কোটি যে বড় গুরুভার। লঘু হতে পারে এক উপায়েই।
সব্বার স্কুল থেকে শুরু তার। দেশকে দাঁড়াতে তার দুপায়েই।
অত টাকা ডিফেন্সে ঢালা হয় । কেনা হয় গোলা গুলি বন্দুক।
হেলদোল নেই স্কুল বানানোয়। সেই বেলা কষে আঁটা সিন্দুক।
ডালে বসে কাটে সেই ডালটাই। আর কতদিন হবো কালিদাস?
সময় থাকতে চলো পাল্টাই। আগামীর ভাঁড়ারও কি খালি চাস?
কুমীর আনছি কেটে খালটাই। হায় দেশ, বিদেশীরই হলি দাস।
আর্যতীর্থ