। কারাটে।


‘এই বয়েসে কারাটে জেঠু?’ছোকরা বলে ঠুকরে  আমায়,
সত্যিই তো! ধর্ম এবং রাজনীতিতেই  বন্ধুরা সব মাথা ঘামায়!
ওই বড়জোর লাফিং ক্লাবে শরীরটরির একটু দোলে,
এই বয়েসে আমি কেন কিওকুশিন হট্টগোলে?


‘বয়েস কত লিখবো জেঠু? ষাট নিশ্চয় পার করেছেন?
এই বয়েসে লাথি ঘুঁষি শেখার কেন জেদ ধরেছেন?’
হেসে বলি , শুনবে নাকি সত্যি আমার বয়েস কত,
একটা তো নয় ,গোটা দশেক হয়ে যাবে তা অন্তত।


‘আট দশটা বয়েস জেঠু? পাগল না পাঞ্জাবী?
আজ অবধি তো কেউ করেনি এমন আজব দাবী!’
আমি বললাম, শোনো তবে বয়েস মাপা ছোকরা,
সংখ্যাতে যে হিসেব কষো, ওটা তো স্রেফ নখরা।


প্রেম হিসেবে আমার বয়েস পয়তিরিশের কোঠায়,
( চাউনিটি তার বুকের ভেতর আজও তুফান ওঠায়)
গাড়ি চালাই এই যে আমি,তার তো সবে আঠাশ,
লংড্রাইভে হারিয়ে যেতে মন্ত্রণা দেয় বাতাস।


এসব তবু সহজ বয়েস, মাপতে পারো সালে,
অন্যগুলোয় সপাটে চড় হিসেববাদীর গালে।
বিশখানা ক্লাস বয়েস আমার কম্পিউটার ক্লাসে
( নাতনী সেদিন একশো হোলো, আমার ভুলে হাসে)


অনেক বড়ো এখন আমি সদ্যশেখা সাঁতারে,
একঘন্টায় কুড়িটা ল্যাপ এধার থেকে ওধারে।
অ্যাডভেঞ্চার ধরলে পরে আমার বয়েস আটটা ট্রেক,
বুঝলে বাছা, একখানা নয়, বয়েস আছে  যে অনেক।


‘তার মানে এই কারাটেতেও হিসেব করেন ওইভাবেই’
ঠিক ধরেছো , সদ্যজাত, বয়েস এখন কিছুই নেই।
চলো দেখি তোমার কাতা, মাওসি গিরির ইচ্ছে খুব,
সাদা চুলে পথ হারালে বনতে পারো বেশ বেকুব।


আর্যতীর্থ