। কাঠুয়া।


গরুগুলো ঘাস খেতে খেতে দেখে মুখ তুলে
শুনশান কেন লাগে চারণের মাঠ।
টানাটানা চোখ আর পিঠ ছাওয়া চুলে
যে মেয়েটা খেলছিলো, ছুঁয়েছে সে আট।


গুনগুন ভাসছিলো গানেরা বাতাসে
এখন কোথাও তাকে যাচ্ছে না দেখা,
খুলে যাওয়া ফিতে আর চ্যাপটানো ঘাসে
সময় ফুঁপিয়ে শুধু কেঁদে যায় একা।


বালিকা কোথায় গেলো? চুপ চুপ চুপ,
এসব প্রশ্নে যেন না খোলে ঠোঁট,
যেমন বলছে তারা ভেবো তদ্রুপ,
মাথা নিচু করে বোয়ো ধর্মের মোট।


কিছু লোক থাকে জানো তবু বড় ঠ্যাঁটা,
কান পচে যায় নানা প্রশ্নের ভিড়ে,
কিভাবে গিয়েছে জেনে যেন নিন্দুক ব্যাটা
বালিকাকে ধরে নিয়ে গেছে মন্দিরে।


মন্দির? তাই বলো, পুজো টুজো হবে,
দেখোনি কি দেবতাকে মা বলে ডাকি?
ভক্তরা ওই যায় মহাকলরবে,
বালিকা রয়েছে শুয়ে , নিমীলিত আঁখি।


ঘুমে আছে কচি বাছা, নেশার ওষুধে,
ভক্তরা রাখে তাকে বিনাপোশাকেই
কালসাপ তোলে ফণা ধর্মের দুধে,
বিধর্মী ধর্ষণে কোনো দোষ নেই।


দেবতা মূর্তি দেখে ড্যাবড্যাব করে,
কচি যোনি পিষে যায় ভক্তসকল,
এই কথা জানা আছে যুগ যুগ ধরে
লিঙ্গের হয় না হে ধর্মবদল।


পুলিশ পেয়েছে নাকি মোটা দেড় লাখ,
কচি যোনি ধর্ষণ ফাউ তার সাথে,
এগোচ্ছে দেশ, নাচো তেরে কেটে তাক,
ধর্ষণ উৎসব চলে দিনে রাতে।


খুন হলো  নাকি শেষে মরে গেলো সে,
সে কথা জানেন ওই পাথুরে প্রতিমা,
উকিলবাবুরা ফোঁসে মহা আক্রোশে
দোষীদের করা আছে ধর্মের বীমা।


গাভীগুলো ঘাস খেতে খেতে যায় ভেবে
একই লোকে তাদেরকে ডাকে নাকি মাতা
গোলমাল হয়ে যেতো তাবত হিসেবে
নারী করে বানালেই খেয়ালী বিধাতা।


আর্যতীর্থ