। কে কবি।


কে কবি, কে কবি নন, ফারাক কঠিন বোঝা বড়।
ছন্দ ও মিলে কিছু কথা হলে জড়ো, সর্বদা হয় না কবিতা।
শব্দপ্রধান কিছু ছন্দভনিতা, উপমা অলংকারে বসে সেজেগুজে,
বিয়ের কনের মতো ঘর আলো করে;
স্রষ্টা বিমুগ্ধ হয়ে দেখে নিজে নিজে, আর ভাবে
না জানি কি কবিতা লুকিয়ে ওই রূপের ভেতরে।
অথচ বিদগ্ধ কোনো পাঠকের চোখে,
ধরা পড়ে  শূন্যতা ছন্দ নির্মোকে,
সাঁঝে জ্বলা ঝাড়বাতি  নিমেষে নিভিয়ে বলে মোটে নয় কবিতা এমন,
স্রষ্টাকে কবি বলা যাবে কি তখন?
কিংবা ছন্দ ছেড়ে নিখাদ গদ্য লেখা পদ্যের বেশে,
যেমনটি কথা বলি রেগে কেঁদে হেসে,
তেমনই সাজানো কথা রোজকার ঢংয়ে,
বিষয়বস্তু নয় খুব রংচঙে, সংসারী খুঁটিনাটি
নিরস নিরীহ , এমনি শুনবে কিনা ঘোর সন্দেহ,
কিন্তু এমন তার ভাবনা গাঁথুনি,
একবার কানে এলে শ্রোতাটি থমকে যায় পথে, মন করে বারবার শুনি,
যদিও মানেনি সে ব্যাকরণ কোনো, বরং চলেছে সে প্রথাবিপরীতে,
এ লেখার স্রষ্টাকে কবির শিরোপা হবে দিতে।
সুতরাং কে যে কবি, আর কে যে নয়, বোঝাটা শক্ত খুব,
কথাদের অথই সাগরে কোন কল্পনা দিয়ে ডুব
আনবে মুক্তো তুলে,
কোন ভাবনার সুর মন ধরে টান দেবে সোহাগী কলমখানি ছুঁলে,
উত্তর আজও অজানা।
তাই বুঝি কবি ও কবিতার সীমা টানা মানা...


আর্যতীর্থ