। কেঁচো।


যত বিভাজিত হবে ততই সে একা।
যত একা হবে সে, তত ভয় পাওয়ানো সহজ।
ভয় পাওয়া মানুষের শিরদাঁড়া ল্যাতপ্যাতে হতে বেশি সময় লাগেনা,
নিরন্ধ্র মাটি খোঁড়া অন্ধ কেঁচোর মতো ,
আলোর বিপ্রতীপে লুকোনো কেঁচোর মতো,
নিজের গর্তে বাঁচা গুটোনো কেঁচোর মতো
বিবর্ণ যাপনে সে বঁড়শিতে টোপ হওয়া ভবিতব্য বলে জেনে নেয়,
কেউ নেই তার, পড়শি বা বন্ধুস্বজন,
রাষ্ট্র বা ধর্মের মুখে সে অমোঘ সারকথা নিখাদ ধ্রুবক বলে মেনে নেয়।


অথচ খুললে চোখ,
অথচ বাড়ালে হাত,
অথচ কন্ঠে যদি সহসা উঠতো জেগে শেষ অবধি দেখে নেওয়া
যুদ্ধনিনাদ,
সে দেখতে পেতো ঠিক,
প্রতিবেশী, বন্ধু
পাশের পাড়ার লোক,
দূরতম নগরের অধিবাসী কেউ,
আধাচেনা অচেনা বা আগামীতে চেনা হবে এমন অসংখ্য লোক,
শিরদাঁড়া খুঁজে নিতো তার সেই ডাকে,
বুঝে যেতো এ লড়াইয়ে তারা নয় একা।


তা হয়নি কোনোদিন,
ভবিষ্যতেও যাতে হয়না কখনো,
তাই ভয় দিয়ে টানা দাবার খোপের মতো বিভাজন রেখা।


আর্যতীর্থ