। কেন?।


তাজিয়া ও বিজয়ার আরোপিত কাজিয়ায়,
বাঙালীর সম্মান দুনিয়াতে খাবি খায়।
কেউ ডাকে খোদাকে, কেউ শিব বিষ্ণু,
জানা কথা  ধর্মতে এ জাতি সহিষ্ণু।
দগদগে আছে আজও দেশভাগ ক্ষত তার
স্বজন হারানো স্মৃতি এ জাতের মতো কার?
আমরা দিব্যি মিশি পুজো আর ঈদেতে
ভোগ বা হালিম পেলে সাবড়াই খিদেতে।
থাকবে কি করে বলো ভেদকামী এখানে
রবি আর নজরুল পাশাপাশি যেখানে?
পুজো তদারকি করে রতন আর রহমত
ফুল তুলে আনে রোজ অর্চনা নুসরত।
পুজোটা সাজায় যারা, তারা গড়ে তাজিয়া
একসাথে পুজো ঘোরে লক্ষ্মী ও রাজিয়া।
বস্তুত ভেদ নেই হারু আর হারানে
আর কেউ না বুঝুক,বাঙালীরা তা জানে।
এরকমই ঘটে থাকে চিরকাল রাজ্যে
কেন এত ভয় পাও রাজা তুমি আজ যে?
বাঙালীর বিভাজন ধর্মতে হয়না ,
সব কিছু সইবে সে, গোঁড়ামিটা সয় না।
তবুও আদেশ কেন দিলে মহামান্য?
লজ্জা এ বড় জেনো বাঙালীর জন্য।
সক্কলে আমাদের ভেবে নেবে অন্ধ
চকমকি ঠুকলেই বারুদের গন্ধ।
এতে লাভ কার হবে, রাজা সেটা জানো তো?
গোঁড়ারা ঢালবে বিষ , হবে ওসকানো তো।
তার চেয়ে রাজা যদি বিশ্বাস করতে,
বাঙালী দেবে না কোনো গোঁড়ামিকে বাড়তে,
দেখতে আমরা ঠিক মান তার রাখতাম,
তাজিয়া ও বিজয়ায় মিলেমিশে থাকতাম।
ভেদাভেদ করে দিলে ‘আমরা’ ও ‘ওরা’তে
এ সুযোগ নিয়ে নেবে ছুতো খোঁজা গোঁড়াতে।
তাজিয়া ও বিজয়ার বিষাদের সজ্জায়,
দুদলই বাঙালী বলে মুখ ঢাকে লজ্জায়।


আর্যতীর্থ