। খেলোয়াড়।


তালিকাটা বাড়ছেই। প্রতিদিন হয় লেখা এক দুটো নাম,
শহীদের বলিদান, কফিনে তরুণ দেহ, তোপের সেলাম।
শাসকের আহা উহু, তড়িঘড়ি টাকাকড়ি চাকরির সাথে,
টিভিতে প্রাইমটাইম, উর্দিতে হাসিমুখ প্রথম পাতাতে।


নলের ওপারে কে? আমাদের ছেলেদের গুলি মারে কারা?
আঁধার আড়াল করে, তবু ঠিক বোঝা যায় ওদের চেহারা।
বিদেশী শত্রু নয়, এদেশের মাটিতেই ওরা সব বড় হয়েছে তো,
পর্দানশীন হয়ে আছে ইতিহাস, বেনকাব করলেই সব বোঝা যেতো।


অতীতে ভিন্দ্রানওয়ালা, নিহত কিষানজি, গুরুং বা পরেশ বড়ুয়া,
ক্ষমতা নিংড়ে নিতে রাজনীতি দাবাড়ুরা খুঁড়েছেন এইসব কুয়া।
আড়ালের কোন হাত সার জল মাটি দিয়ে এইসব চারাগাছ বাড়ায়?
উত্তর চাপা পড়ে মৃত তরুণের ভিড়ে পাহাড়ে বা দান্তেওয়াড়ায়..


তালিকাটা বাড়ছেই। শহীদের মৃত্যু আবেগে ইতিহাস চাপা পড়ে যায়,
দু তরফে বোড়ে মরে। খেলোয়াড় ভোটে জিতে যথারীতি আখের গুছায়।


আর্যতীর্থ