। খুঁত।


কতটা নিঁখুত দেখো!
প্রতিটি মণ্ডপ, সেজেগুজে বসে আছে প্রথম প্রণয়ে যাওয়া প্রার্থীর মতো,
সুচারু প্রবেশদ্বারে প্রতি কারুকাজে ভারী যত্নের ছাপ।
ভেতরে জনতার ঢলে চলতে চলতে দেখো, দুইপাশে সারি দেওয়া অনুপম কীর্তিকলাপ,
তোমার ক’ মুহূর্ত নজরে পড়বে বলে, অদম্য শ্রমঘামে অনামী শিল্পী কেউ,
সাজিয়েছে ঢেউ তুলে নয়নাভিরাম।
ক্ষণিক অতিথি হওয়া তোমার মুখের থেকে ‘বাহ’ বের হলে,
মাসোত্তীর্ণব্যাপী সে সব সৃজনজন্ম সার্থক হয়।
ডোকরার কাজ করা অনিন্দ্য নারী অবয়ব,
পটে আঁকা দেবদেবীলীলা
অথবা পাটের কাজে ফুটে ওঠা চাষী পরিবার,
প্রবেশতোরন থেকে মূল মণ্ডপে যেতে এরা সব অপেক্ষারত ছিলো পথের দুধারে,
সামনের দিকে চোখে অনজর করে গেছে ওদের জনতা,
ক্বচিৎ সেলফির প্রেক্ষাতে স্থান পেয়ে ধন্য হয়েছে সেই কুশলী কলারা।
তুমি বিহ্বল হেঁটে সামনে এগিয়ে গেছো সূচিতে মিলিয়ে নিয়ে পরের প্রতিমা,
দুচারটে ছবি যে অনন্ত জি বি ভরা মুঠোফোনে বন্দী হয়েছে,
গ্যালারির কোন কোণে ঠাঁই পাবে সেই স্মৃতিকণা,
তুমিও জানোনা।


অথচ কোথাও যদি বিসদৃশ ত্রুটি লেগে থাকে,
অসমান কারুকাজ, বিস্রস্ত দেবীমুখ,
চেষ্টার অপলাপ বলা যায় যাকে,
পটে ফুটে ওঠা চোখে ভুল করে কমবেশি মণির আকার,
কিভাবে পড়লে চোখ সেই সব ক্ষতগুলো গেঁথে যায় মনে।


মানবচরিতমানস যেমনটি শুধু খুঁত ধরে রাখে বাকি সব্বার,
সব গুণ ভুলে গিয়ে পরম যতনে।


আর্যতীর্থ