। কোজাগরী।


কেউ জেগে আছো কি এখনো, ওপরের দিকে চোখ রেখে?
তারা নেই আসমানে কোনো, কালো মেঘে চাঁদ গেছে ঢেকে
চাঁদ হেসে বেরোবে কখন, সে ব্যাপারে কিছু নেই জানা
চারিপাশে কঠিন শাসন, জোছনার দাবী তোলা মানা
ইদানিং নাকি বারোমাস, মেঘেরাই আকাশের প্রভু,
বুড়ি চাঁদ গত ইতিহাস, তারারাও প্রায় নিভু নিভু
বস্তুত চাঁদ আলো দিতো, মেঘেদের নিয়ে অনুমতি,
এ তথ্য বহু প্রচারিত, জানা গেছে অতি সম্প্রতি,
যারা সেটা মানতে নারাজ, তাদের ওপরে আছে চোখ,
চাঁদ নিয়ে তুললে আওয়াজ, বের হবে সুতীক্ষ্ণ নখ,
আঁচড়ের হুমকিরা এসে, শাসাবে যে ‘বলো ভালো মেঘ
বেনোজলে যে গিয়েছে ভেসে, তাকে নিয়ে কেন এ আবেগ
চাঁদ ছেড়ে বলো আর কিছু ,মাটি কত সুজলা সুফলা
সর্বদা ঘাড় রেখো নিচু, আকাশে নিষেধ চোখ তোলা।’
মেঘেদের ক্রমশ প্রচারে, লোকে ভোলে জোছনার কথা,
কার্তুজ কিছু লোক মারে, বাকি সব শেখে সমঝোতা।
বাতাসে আসছে ভেসে বাণী,মেঘেরাই আকাশের সীমা,
বরাবর চালু প্রথা জানি, মেপে দেওয়া মনের দ্রাঘিমা
সবলোকে রাত মানে বোঝে, মুখ গোঁজো নিরীহ বালিশে,
কারফিউ লেগেছে মগজে, চোখ বুজে থাকো মিলেমিশে,
এখনো কি কেউ জেগে আছে, চোখ রেখে তার দূরবীনে
আকাশের আনাচেকানাচে, জোছনার আলো নিতে চিনে?
চাঁদ জ্বলে মেঘের ওপারে, সে সত্য যার বিশ্বাসে,
মিশকালো মেঘের আঁধারে, তার কাছে কোজাগরী আসে...


আর্যতীর্থ