খুব ভারী ভারী কবিতা লিখছি। একটু হালকা বলি...


। কঠিন কাজ।


তোমরা এত জ্ঞানী গুণী
দিচ্ছো যে জ্ঞান দিনে রাতে
বলো দেখি কোন কাজটি
সবার কঠিন এই  জগতে?
হয়তো বলবে মহাকাশে যাওয়া,
নয় চড়া ওই পাহাড় উচ্চ
একটি এমন কাজ সে আছে
যার কাছে ভাই ওসব তুচ্ছ।
ব্যাপারটা নয় মোটেই সহজ
আনতে কি কেউ পারবে কিনে,
বউ যেটাকে বলবে ভালো
দেওয়ার পরে জন্মদিনে?
নামকরা সে কোনো জহুরীর
গয়না দিলে সোনা হীরে
এসব নাকি কেউ পরে না
বজ্র আঘাত তোমার শিরে!
সাতপাঁচ ভেবে নাহয় কিনলে
হালফ্যাসনের হালকা গয়না
ভুরুটি কুঁচকে উঠবেই বলে
‘ভালো পছন্দ সবার হয়না’!
পার পেয়ে যাবে যদি ভেবে থাকো
কিনে শাড়ি যার অনেক দাম
সেই আশাটাতে জল ঢেলে দিয়ে
জপে যেও শুধু ইষ্টনাম।
জমি ও পাড়ের কঠিন বিচারে
স্বামীটি দাঁড়াবে কাঠগড়াটাতে,
দেখেছেন তিনি এমন শাড়িটি
মিসেস রায়ের ,অন্য পাড়াতে।
ভুলেও যেও না ফুল দিতে তাকে
লাল গোলাপের তোড়াটা সাজিয়ে
এতদাম দিয়ে এই কটা ফুল
গিন্নি তোমার বাঁধাবে কাজিয়ে।
পয়সাটি হাতে দিয়ে দাও যদি
তার পছন্দে কেনার লক্ষ্যে
অনুভূতিহীন নরাধম তুমি
নরকের থেকে নেইকো রক্ষে!
এত কিছু দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে
কিছু উপহার নাই কিনে দিয়ে
মধু কিছু কথা যদি মৃদু বলো
রাত বারোটায় বৌকে জাগিয়ে,
মুখে মৃদু হাসি পতিপ্রেম দেখে
কানে কানে কথা বলেন কন্যে
সেকথা যে তার হুল হয়ে ফোটে
'উপহার কই আমার জন্যে ?'


আর্যতীর্থ