। কুড়ি বছরের পর।


আবার যে আমাদের দেখা হয়ে যাবে, আমরা না জানলেও , হয়তো সময় জানতো।
সময় সব জানে, বলে না  সে রহস্য মানুষের কানে,
সহজ হিসেব এটা, আগামী জানতে পেলে কে আর এখন ধরে টানতো!


দুজনেরই বয়েসের ছাপ , আমার তো টাক রীতিমতো। তোমারও চুলের বেণী কিছু ক্ষীণকায়।
চশমা হয়েছে পুরু, গল্পের বই নয়, হাতে স্মার্টফোন,
তবুও ঠোঁটের তিল, বাঁ হাতে সরিয়ে দেওয়া কপালের চুল,
জোড়া দশকের পোড়া স্মৃতিকে জ্বালায়।


দিল্লীর ফ্লাইটটা শহরে নামতে মিনিট কুড়ি। প্রিয়জন আসছে ওটাতে, তোমারও সেটাই হতে হবে।
হয়তো এখন তারা পাশাপাশি বসে, হয়তো তাদের মাঝে গল্পগুজব,
আমরা দুজন কেঠো পুতুলের মতো, অতীতকে কাটি ছিঁড়ি মাটিতে নীরবে।


অবশ্য এটা ঠিক, তুমি কি ভাবছো আমি সেটা জানিনা।একবারও তাকাওনি তুমি এইদিকে।
প্রিয় ফুল , প্রিয় রঙ, প্রিয়তর কবি, এখনো খোদাই মনে বিশ বছরের পর।
হয়তো তোমার পটে গাঢ় কোনো রঙ, অতীত দিয়েছে করে একেবারে ফিকে।


আমারও উচিত চোখ ফিরিয়ে নেওয়া, শেষ কটা মাস মনে করে। তবু পারছিনা সেটা, জানো।
নন্দন নেরুদা আর ফ্লুরিজের স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভাসে ফের ত্রিমাত্রিকে।
যেন বহুদিন পরে খুব বৃষ্টি নেমেছে, একমাত্র লক্ষ্য তার আমাকে ভেজানো।


এসে গেছে প্রিয়জন, তুমি অপেক্ষায়। তড়িঘড়ি ট্রলি ঠেলে চেনা জগতের দিকে ফিরে যাওয়া ভালো।
তখনই ঘুরলে তুমি। ঠোঁটকোণে মৃদুহাসি, চোখে জল, ওমা তুমি কাঁদছিলে নাকি?


দুই জোড়া চোখ বিশটা বছর এক লহমায় বেঁচে নিলো ।তারপর, স্মৃতি ফের অতীতে মেলালো।


আর্যতীর্থ