।লেসবিয়ান।


আর কতটা নামবে হে যুগ,  হচ্ছি ক্রমে সন্দিহান,
কিশোরীদের লিখতে বলো, ‘ আমরা হলাম লেসবিয়ান’।
কচি মনের সফল বিকাশ ,এখন বোধহয় গৌণ তা,
এক হয়ে যায় স্কুলের কাছে অপরাধ আর যৌনতা।


কৈশোর তো স্বভাববশেই সবকিছুতে কৌতুহলী,
নিষেধ লেখা পাঁচিলগুলো ভাঙার চেষ্টা তাই কেবলই।
বাঁধনভাঙা বন্যা লেখা উথলে ওঠা হরমোনে,
আগামীকে জীবন দেখে এই বয়েসের দর্পনে।


তোমরা যারা বড় এবং ধর্ম যাদের শিক্ষাদান,
গালাগালির মতন তারা বলছো কেন ‘লেসবিয়ান’ ?
আই এস আই এস কোতল করে, তোমরা বলো ঘৃণ্য সে,
ভারত তবে কেমন করে ইরাক থেকে ভিন্ন সে?


কি করছিলো কিশোরীরা কতটা সে ঠিক বা ভুল,
শৃঙ্খলাটাও জরুরি খুব, নিশ্চয় তা দেখবে স্কুল।
কিন্তু যদি তাদের ওপর এমনতর শাস্তি নামে,
তফাত তবে থাকে না আর শাসন এবং ধর্ষকামে।


একুশ শতক , শিক্ষা এবার বদলে ফেলুক চিন্তাধারা
যৌনতাতে পৃথক হলেই অন্য হয়না মানুষ তারা।
মান্ধাতা সব ভাবনাগুলোয় বন্দী কেন বর্তমান,
বন্ধ করো ব্যঙ্গে বলা হোমো কিংবা লেসবিয়ান।


আর্যতীর্থ