। লং ডিসটান্স রিলেশন।


মুঠোফোনে মন লেখো , শব্দবিহীন কিছু প্রেম সংকেতে
ইমোজির সংখ্যায় বোঝা যায় ভালোবাসা কত বড় হোলো
চিরকুটি খুনসুটি জমে ওঠে অবসরে রোজ সন্ধেতে
স্কাইপের স্ক্রিন জানে শরীরের কথকতা কতটা এগোলো।


চোখ তুলে দেখলেই টের পেতে ফাঁকা ছিলো নন্দন আজ
লেকের বাদামওলা ভেবেছিলো দোঁহে মিলে ওর কাছে যাবে
তোমাদের জন্যই  ভিক্টোরিয়ার বেঞ্চ পরেছিলো রোদ্দুরসাজ
বাবুঘাট চেয়েছিলো চুপ করে ঘাটে এসে দুজনে দাঁড়াবে।


অথচ তোমরা শুধু কথা বলে গেলে নিজস্ব আস্তানা থেকে
ফোনে লিখে গেলে আগ্রাসী চুম্বন কামাতুর গাঢ় আলিঙ্গন
মুখোমুখি বসবার সময় পাও না কেউ চোখে চোখ রেখে
নির্জন কাজদ্বীপে জীবিকা দিয়েছে বুঝি অখণ্ড নির্বাসন।


মাঝে কোনো ছুটি এলে হাঁকুপাঁকু করে ছোটো সময়শাসনে,
ঘন্টাতে দিন আর দিনে মাস ভরে নিয়ে চেটেপুটে খেতে চাও যাবতীয় সুখ,
ঝপ করে পড়ে পাওয়া ক্ষণিকের রাজসূয় বিলাসব্যসনে,
সন্ধেবেলার লেকে সূর্যের নিভে আসা দেখার জন্য নও তত উৎসুক।


ভালোবাসো সেটা জানি, তবু কেউ স্মৃতিদের তৈরী করোনা,
চ্যাটকথা মুছে গেলে তোমাদের নটেগাছে মুড়োবে সময়,
সায়াহ্ন এসে গেলে ঢেউয়ের ছলাৎছলে দুলবেনা পুরোনো ঘটনা,
যাদের বানাতে হলে শহরের বুকেপিঠে হেঁটে যেতে হয়...


আর্যতীর্থ