। মহালয়া।


তাঁরা ফিরে ফিরে আসেন, বছরের একদিন, বছরের এইদিন।
রাতজাগা তারাগুলো নিভে যেতে যেতে বোঝে, আসছেন তাঁরা।
সূর্য ওঠার আগে হঠাৎ রাশ টেনে দেয় তার আলোতে,
সেই পথ করতে মসৃণ।
ওই ওঁরা, অবয়বহীন, সুখদুঃখের অতীত, বোধ ও ভাষ্যের চেনা সীমান্ত পেরোনো উর্ধ্বপুরুষেরা।
ওঁরা আসছেন, ওঁরাএসেছেন, ওঁরা আসবেন এইদিন, পার্থিব প্রজন্মের কাছে।
পোঁতা চারাগাছ কেমন মহীরূহ হয়ে আকাশকে ধরে রেখেছে অ্যাটলাসের মতো,
গ্রুপ থেকে আলাদা করে এনলার্জ করা সাদাকালো ফটোটা এখন কেমন আছে,
ভরে যাওয়া ভান করে আজও নুন ছিটে পেলে জ্বলে কোন ক্ষত,
সেসব সরেজমিন চাক্ষুস করে নিতে বিদেহীরা এসে যান মরপৃথিবীতে।
সূর্য ওঠার ঠিক আগে,চাঁদহীন আকাশের অসংখ্য নক্ষত্র কিছু কম হয়,
ওঁরা নেমে এসে প্রজন্মকে চান অশরীরী প্রত্যাশায় একবার ছুঁতে,
কে কোথায় কত দুঃখ বুকে চেপে সুখ সুখ খেলছে এখানে,
মাপেন বোধহয়।
প্রতি মহালয়া, উত্তর প্রজন্মকে পূর্বজরা স্পর্শ করে যান সূর্যের সাথে,
আনাচকানাচ খুঁজে, দেখে যান এ আঁধারে কেমন খুঁজছে আলো তাঁদের আপন।


বীরেন্দ্র ভদ্রের মন্দ্র কন্ঠ আধো ঘুমে শুনে নেওয়া বাসি বিছানাতে,
সেইটুকু নয় মহালয়া। যাঁরা নেই আর, আঁজলায় স্মৃতি ভরে
এদিন করতে হয় তাঁদের স্মরণ।


আর্যতীর্থ