। মকুব।


অতি ধনী হলে
ফাঁকতালে গলে
যাওয়া যায় দেশ ছেড়ে ঋণের খেলাপে।
ভরতে ভোটের ঘড়া,
গরীবের কর্জরা
মাফ হয়ে যেতে পারে রাজনীতি চাপে।
মাঝখানে ব্যাংক যারা,
শুধুই রুদালি তারা,
চুপচাপ কেঁদে যায় ফাঁকা সিন্দুকে,
বাহবা অর্থনীতি,
শত কোটি টাকা ক্ষতি,
সব সয়ে তবু হাসি বাজেটের মুখে।


প্রশ্ন আসছে উঠে ,
ছক্কা পাঞ্জা পুটে,
ছুকছুক খয়রাতি করে যান নেতারা,
বকেয়া যা হিসেবে ,
শোধ সেটা কে দেবে,
গৌরী সেনের নাতি কে তারা?
বাড়ছে আলুর দর,
বাজারের থাপ্পড়,
জনতার গালে পড়ে রাতদিন,
ঝাড়লো যে নীরবে,
আরামে সে  জিরোবে
ওইসব নাকি আজ ‘ব্যাড’ ঋণ।


চাষীদের রোজগার
দেখা ছিলো দরকার
ফসলের দাম যেন পান ঠিক,
উপচে ফসল হলে,
ফড়েরা মুনাফা তোলে
খিদে পেটে থাকে চাষী প্রান্তিক।
জনতার টাকা এ,
গচ্ছিত রাখা এ,
ঘাম লেগে জ্যাবজ্যাবে প্রতি পাই,
মকুবের ঘোষণায়,
নেতা কই তা শোনায়,
দল দেবে পুষিয়ে সে ক্ষতিটাই?  


টুটিফাটা এ জেবে
টাকা শোধ কে দেবে,
তুমি আমি ট্যাক্স আরো  গুনবো,
পোদ্দারী পরধনে,
মকুবের আচরণে,
নেতাদের  ক্ষতি থাকে শূন্য।


আর্যতীর্থ