। মানুষ নাকি।


কে হে তুমি? মানুষ নাকি? দাঁড়াও বাপু ঠাউরে দেখি,
যুগ পড়েছে এখন মেকির, হরেক রকম ফন্দী ফিকির
করছে যত অলপ্পেয়ে নামানুষে, দেখতে হবে আসল কিনা
নাকের ওপর চশমা কষে।


মানুষ লাগো আদল দেখে, সামনে পিছে ডান-বাঁ থেকে,
হাত পা মাথার নাড়াচাড়ায়, নাকের পাটায় চোখের তারায়,
ভাষার নিপুণ খেলায় জিভের, সবকিছু সেই আদম ইভের,
কিন্তু জেনো , মিলে গেলেও অনেক সময়, হঠাৎ করে খবর আসে, মনিষ্যি নয়, মনিষ্যি নয়।


ব্যাখ্যা করো সহজ কথায়, ধর্ম তোমার আছে কোথায়,
বুকের ভেতর নিজের করে, ডাকো তুমি কি ঈশ্বরে,
নাকি পথে চেঁচিয়ে বেড়াও, সবার কানের পোকা নাড়াও,
উপাসনা অন্য কোনো, দেখতে পেলে প্রমাদ গোনো,
কোনটা তুমি? কোনটা তুমি? মিলমিশ না যুদ্ধজমি,
কেমন ভাবে দেখছো বলো, ভাবছো তোমার পৃথিবীকে,
বিশদ জানাও, বিচার করে মানুষ কিনা ফেলবো লিখে।


পরের প্রশ্নে ঢুকি চলো,  গায়ের রঙের ফর্সা কালো
তোমার কি তা ভাবার বিষয়? তফাত হলে তোমার কি হয়?
ক্রিম মাখো কি ফর্সা হতে? গা ঘিনঘিন কালো ছুঁতে?
চামড়া দেখো বিয়ের সময় ? চাইছো বাচ্চা ফর্সাই হয়?
এসব তোমায় বলতে হবে বুকের ওপর রেখে দুহাত
মানুষ এবং নামানুষের অনেক সময় সুক্ষ্ণ তফাত।


আচ্ছা সহজ জবাবটা দাও, পরের প্রজন্ম কি লিঙ্গ চাও?
একদিকে কি আছো ঝুঁকে, প্রার্থনা হয় দুরু বুকে,
জানার চেষ্টা ঠারেঠোরে ছেলে না মেয়ে কে ভেতরে,
একটি হলে দুগ্ধ ঘৃত, অন্যতে হয় গর্ভপাতও,
বলো ওহে মানুষআদল, এক্স ওয়াইয়ে হয় কি বদল,
তোমার মনে, তোমার প্ল্যানে, নাকি সেটাই নেবে মেনে,
এসেছে যে তোমার কোলে? দাও হে হিসেব করে বলে,
তারপরে নয় ভাবা যাবে তুমি আসল নাকি মেকি,


কে হে তুমি? মানুষ নাকি? দাঁড়াও বাপু ঠাউরে দেখি...


আর্যতীর্থ