। মানুষটা।


মানুষটা ছিলেন ধুতি পাঞ্জাবীতে নিখাদ বাঙালী।
একা এক বাঘ মেরেছিলেন ,ছোটো ছুরি হাতে ছিলো খালি।
অভব্য ইংরেজ পুরুষ বুঝেছিলো সেই প্রাকস্বাধীনতা কালে,
মহিলার সম্মানে একজন নেটিভও পারে চড় মেরে দিতে সাদা গালে,
এমনকি দল বেঁধে আক্রমণেও তাঁকে তারা  পারেনি হারাতে,
সে মানষটা পারতেন, স্থানপাত্র নির্বিশেষে যাবতীয় অন্যায়ে রুখে দাঁড়াতে।
অনুশীলন সমিতি বললে কিছু মনে পড়ে কি? কিংবা যুগান্তর?
অহিংস নয়, সহিংসতায় ব্রিটিশ গালে সপাটে থাপ্পড়।
মানুষটা পথ দেখালেন, বস্তুত তৈরী করলেন আগুনের মত উজ্জ্বল কিছু ছেলেমেয়ে।
সে সময়ে ব্রিটিশ রাজকে আর কেউ বিপর্যস্ত বেশি করেননি ওনার চেয়ে।
তিনি চেয়েছিলেন অখণ্ড  ভারত স্বাধীন হোক সশস্ত্র সংগ্রামে,
গ্রাম থেকে গ্রাম, শহরের প্রতিটি ঘর গর্জে উঠুক ভারতমায়ের নামে,
গোপন সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, মশালের আগুন সারা দেশে দিয়েছিলেন ছড়িয়ে,
রাসবিহারী বসু, এম এন রায়কে মনে আছে?
সেসব পলতেতে ইনিই দিয়েছিলেন আগুন ধরিয়ে।
শেষ যুদ্ধ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে, পিস্তল বনাম বন্দুকের লড়াই বালাসোরে।
কে তিনি? ক্লাস এইটের ইতিহাস বইয়ে আধপাতা ধরে পচছেন কতদিন ধরে..


কারণ আমরা তো বাঘাযতীন বলতে অটোট্যাক্সি ঘেঁষাঘেষি ফুটপাতহীন একটা ওয়ার্ড বুঝি,
গুগলে অভ্যস্ত হে সহনাগরিক,
চলুননা মাঝে মাঝে নামেই কয়েদ হওয়া আমাদের ইতিহাস খুঁজি!


আর্যতীর্থ