।মশাল।


ওহে মৌলবাদী, ভাবতে পারো মাদ্রাসাতে আরবি পড়ে হিন্দু ঘরের ছেলে?
কি বলছো ভাই? মেরেই দেবে প্রাণে তাকে হাতের কাছে পেলে?
মুশকিল কি জানো গুরু, তোমার পক্ষে তাকে ছোঁয়া নেহাত অসম্ভব,
আত্মঘাতী জঙ্গী যাবে ? আরে ,ওসব করার আগে শুনেই দেখো সব।


আরবি ফারসি পড়ে ছেলে  বেনারসে আবার ছোটে পড়তে সংস্কৃত,
কি আশ্চর্য,  পন্ডিতেরা মোটেই তাতে কোনোরকম দাঙ্গা বাঁধাননি তো!
বরঞ্চ বেশ মনোযোগেই ধর্ম মেনে সব শাস্ত্রের দিলেন তাকে পাঠ,
কান্ডটা কি বলো দেখি, গেরুয়া সবুজ কোনো পক্ষই করছে না ঝঞ্ঝাট?


সে যাকগে যাক, কোরান গীতা শিখেই কি আর সেই ছেলেটা ক্ষান্ত দিলো?
যাজক কেরি  টিচার হলেন, ইংরাজিটা শেখার সাথে ফেললো পড়ে সে বাইবেলও।
কি সাংঘাতিক ব্যাপার বলো! এই তো সেদিন বাচ্চা নিয়ে পুড়ে গেলেন গ্রাহাম স্টেইন কেন্দুঝারে,
তিনিও তো যাজক ছিলেন! উচ্ছন্নে গেছে ছেলে, মৌলবাদী কয়দিন আর সহ্য করে!


ছেলে ক্রমে লোক হয়েছে, নাম করেছেন এমন তাকে সম্মান দেন বাদশা থেকে সাহেবসুবো,
দেশ ও দশে প্রাণ ঢেলে দেন, সমাজ থেকে জঞ্জাল সাফ করাই করেন লক্ষ্য ধ্রুব।
বিধবা সব জ্বলতো চিতায়, বন্ধ হলো সেই কুপ্রথা সেই মানুষের একার জোরে,
ওরে ও ভাই মৌলবাদী, কার না করে হাত নিশপিশ এমন লোককে মারতে ধরে?


তোমরা তো ভাই পণপ্রথা আর মুখতালাকে ধর্ম বেঁধে জ্বালাও নারী অনায়াসে,
এ লোকটি তো উল্টো চলেন,  দৃঢ় হাতে মশাল জ্বালান এই সমাজের কু-বিনাশে।


আহা ও ভাই মৌলবাদী, এমন লোককে তোমার মারার ইচ্ছেতে হায় সময় অন্তরায়,
দুশো বছর পেরিয়ে গেছে, নিজের তেজে জ্বলেন আজও শ্রী রামমোহন রায়।


আর্যতীর্থ