। মূল্য।


( ঝাড়খন্ড : কোথায় চলেছি আমরা?)


কিশোরীর ইজ্জত কেনা যায় কততে?
কত হলে ব্যথা কমে যেতে পারে ক্ষততে?
সভা হয় ,রফা হয় পঞ্চাশ হাজারে,
এর বেশি দেওয়া যায় বলো এই বাজারে?


সেটুকুও ঠিক ছিলো, সাথে সাজা ওঠবোস,
ধর্ষক খেপে গিয়ে রাগে করে ফোঁস ফোঁস।
নাহয় সে জোর করে ইজ্জত লুটেছে,
তুচ্ছ সে কাজটার এত দাম উঠেছে?


তলপেটে ছটফট ,কি দারুণ খিদে সে,
কিশোরীকে খেয়ে আর কতটুকু মিটেছে?
আরও কত ভরে আছে গোটা গ্রামে কিশোরী
পঞ্চাশ দিতে দিতে হতে হবে ফতুরই।


সুতরাং এইসব বাড়ন্ত নাস্তি,
ধর্ষক দিতে গেলো কিশোরীকে শাস্তি।
ঘরেতে আগুন দিয়ে কিশোরীকে জ্বালিয়ে,
অনায়াসে গেছে নাকি গ্রাম থেকে পালিয়ে।


আইন এই কিশোরীর কি মদত করবে?
গ্রাম থেকে কজনকে দোষী বলে ধরবে?
শুধুই কি ধর্ষকই দায়ী আজ এ খুনে?
ভেবে দেখো, কিশোরীকে কারা দিলো আগুনে।


পঞ্চায়েতের যাঁরা দিয়েছেন এ বিধান
সমাজের মাথাতেই তাঁদের রয়েছে স্থান।
মাথা যদি ধর্ষণে ছেড়ে দেয় সহজে,
দেহ তবে সেটাকেই রেখে দেয় মগজে।


দেশের একটা মেয়ে চলে গেলো ষোলোতে,
বস্তুত সামাজিক নিলামই তো হলো সে।
পয়সার বিনিময়ে ধর্ষণ ভুললে,
আঁধার আগামী লেখা জেনো সেই মূল্যে।


আর্যতীর্থ