। মূর্তির ইতিহাস।


তিল তিল করে পাথরের বুক থেকে ফোটে মূর্তিরা
ছেনির কুশলী ঘায়ে অবয়বে ধরা দেয়  বহতা সময়
আঁধার কুয়াশা থেকে মুক্তির গান গায় কালমন্দিরা
স্বপ্ন পাষাণে কুঁদে প্রতি মূর্তির থেকে ইতিহাস বয়।


পাথরের বুকে ফোটে সময়কে ছুঁয়ে যাওয়া সব ধারণারা,
প্রেম ও প্রকৃতি ফোটে, মানব, দেবতা ,পরী ,কল্পদানব,
ভয় ঘৃণা বিশ্বাস আনন্দ উচ্ছাস ইতিহাসে ধরে রাখে তারা
মনন ও চিন্তন, পতন ও উত্থান মূর্তিরা মনে রাখে সব।


যুগে যুগে তাই নয়া শাসকের দল, মূর্তিকে বড় ভয় পায়।
পাথরে জমিয়ে রাখা অতীতের স্মৃতি , কে জানে কখন করে বসে বিদ্রোহ,
এক রাজা এসে তাই তড়িঘড়ি প্রাক্তনী মূর্তি সরায়,
ধর্মের ভানে করা লুঠমারপিটে, তাই তছনছ হয় আনবিগ্রহ।


পরম অসম্মানে হাতুড়ির ঘা পড়ে বারবার নানা বিশ্বাসে,
বিলোনিয়া কলকাতা কিংবা ভেলোর, বিভেদীরা চারদিকে ডোজার চালায়,
কষ্টে  সামলে নেওয়া এদেশের ইতিহাসে লজ্জারা ফের ফিরে আসে,
মূর্তির প্রতি টুকরোতে, সময় আর্তনাদ করে ওঠে জখমজ্বালায়


শ্যামাপ্রসাদ আর ভ্লাদিমির ইলিচ, একই যূপে বলি হন ভোটের  খেলায়...


আর্যতীর্থ