। নাস্তিক।


ঈশ্বর আমিও চাই, দিনশেষে সমস্যাগুলো কারো ঘাড়ে দিয়ে দিতে
কার না সাধ জাগে বলো!
চারদিক বেঁধে ফেলে বিপদ যখন ক্রমে গলা টিপে ধরে
কালো কালো হাতে,
তখন একজন সর্বশক্তিমানের সাহায্য চাইলে বেশ হতো।
অথচ দেখো না আমি নিজে নিজে লড়ে যাই অক্ষম মুষ্টিতে,
হেরে যাই, পড়ে যাই, নড়ে যাই অবস্থান থেকে,
ধুলোপায়ে ঘরে ফিরে রাতুল চরণে নিবেদন করবো নিস্পৃহ ফলাফল,
তেমনটা ঘটলে সেনাপতি হওয়ার দায় থেকে মুক্তি পেতাম।
বিশ্বাস করো, সেনাধ্যক্ষই খুঁজে চলেছি সারাজীবন।
কিন্তু যেখানেই গেছি, সকলেই নানারঙা উর্দি ধরিয়ে দিয়েছে,
প্রকান্ড নিয়মাবলী সামনে গড়িয়ে দিয়ে বলেছে,
‘ শোনো হে, খাদ্যে পোশাকে , ধ্যানধারণা আর ভাবনা প্রার্থনায় ,
এর থেকে নড়চড় হলে তুমি সৈনিক নও।
আমরাই বলে দেবো, কোনদিকে কতখানি বেঁকে কি শব্দ কিভাবে আওড়ালে
যুদ্ধের ভার তিনি কাঁধে তুলে নেন’
রিক্রুট হওয়ার আগে সন্দিহান আমি বিনম্র স্বরে শুধিয়েছি,
‘ সেনাপতির সই নেই কেন এই চুক্তিপত্রের শেষে?
এটা যে নকল নয়, প্রমাণ আছে কি তার নিশ্চিত কিছু?’
অমনি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হুজুরেরা বের করে দিয়েছেন,
কোনো রেজিমেন্টে অভাগার জায়গা হয়নি।


সুতরাং রোজকার লড়াইয়ে, আয়নার মানুষটাকে ছাড়া দায় চাপাতে আর কাউকে পাইনা।
ক্ষত সাফ করে নিয়ে  ধুলোটুলো ঝেড়ে, পরবর্তী আক্রমণের জন্য নিজেই ভাঙা শিরস্ত্রাণ পরি,
সহায় থাক না থাক, যুদ্ধটা চালাতেই থাকি।


অবিশ্বাসী নই আমি, সেনাপতির সাথে শুধু দেখা হওয়া বাকি।


আর্যতীর্থ