। নেই দেশ।


এই দেশ বালিকার নয়।
ভ্রুণ থেকে কৈশোর, থরহরি মরণের ভয়,
কে কখন ছিঁড়ে নিয়ে সহজ জ্বালানি ভেবে ছাই করে দেবে
অনায়াসে হাত থেকে কুমারী রক্ত মুছে নেবে।
একদিন, দেখো ঠিক একদিন এই দেশ অ-বালিকা হবে নিশ্চয়।


এই দেশ বালকের নয়।
স্কুল ও বিনা স্কুলে তারা শুধু ভারী মোট বয়,
শৈশবহীন এক বর্তমানকে ঠেলে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলাটাই সার,
কর্মহীন অকাজের বাড়বাড়ন্তগুলো আগামী করতে থাকে আরো অন্ধকার।
বড় হলে জেনে যায়, নাগরিকত্বে না,  ধর্ম ও জাতে লেখা তার পরিচয়।


এই দেশ নয় যুবক বা যুবতীর ।
কতিপয় রুজি খোঁজে কোটি কয় জীবনের দৌড় অস্থির,
শেষে কোনো পতাকার কাছে বিবেকের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
ভালোবাসা ঘর বাঁধা ,অদৃশ্য খাপের ফাঁদ সবেতে এখন,
যেই দিকে চোখ যায় , আশাহীন দিশাহীন জীবনের ভিড়।


বার্ধক্যেরও কি এই দেশ নাকি?
জমানো নিচ্ছে চোরে, পেনশনে ফাঁকি,
কারোর সময় নেই, দুদণ্ড হাত ধরে দুটো কথা বলে,
এদিকে সেদিকে দেখি বৃদ্ধ আবাস গুলো শুধু ভরে চলে,
বেড়েছে যে গড় আয়ু , রোজ মনে হয় সেটা বৃহৎ চালাকি...


অথচ অবাক কাণ্ড, বালক বালিকা, যুবক যুবতী আর বুড়োদের নাগরিক রক্ত ও ঘাম,
রাজা ও রাজড়াদের ভোটের পাশার চালে, সস্তা পণ্য হয়ে হচ্ছে নিলাম।


আর্যতীর্থ