। নিচু থেকে ডাক।


মাঝে মাঝে নিচে নেমে এসো।
বাতাসে ওড়ার এক নেশা আছে জানি,
আকাশকে নিজস্ব এলাকা বলে মনে হয়।
উত্থান কবে হয়েছিলো আর তলিয়ে ভাবোনা,
বস্তুত মাটির সে ইতিহাস ভুলে যেতে চাও,
এমন গুজব আছে অভিজ্ঞ ঘাসেদের মাঝে।
সে আগুনে ধুনো দেয় টুকিটাকি খবরের ঝাঁক,
কোনদিন  করেছিলে তারাদের সাথে বৈঠক,
সূর্যের সাথে কবে দেখেছে তোমায় লোকে বিলাসী আসরে।
অথচ তোমার সেই পাড়াতুতো ঝোপঝাড়,
রোজের আড্ডা দেওয়া শিমূল পলাশ আর ঝুরি নামা বট,
পাখনা মেলার পরে তাদের সঙ্গে আর নেই  যোগাযোগ।
এসবই গুঞ্জে ওঠে প্রবল উষ্মা নিয়ে নানা ম্যায়ফিলে।
মজার ব্যাপার জানো,  যে শিকড়কথা তুমি ভুলে যেতে চাও,
কিভাবে জানিনা সে ছড়িয়ে পড়েছে আজ অরণ্যের আনাচেকানাচে।
কেউ দলছুট হলে তাকে নিয়ে সাবধানবাণী থাকা স্বাভাবিক, তোমার ব্যাপারে কেন ব্যতিক্রম হবে?
এরই মাঝে কেউ কেউ খবর এনেছে, আসলে ওড়ো না তুমি,
কোনদিকে কান্নিক, সেটার দখল আছে অদৃশ্য সুতোর হাতে।
কানাঘুষো শোনা যায়, ভোকাট্টা হতে পারো বিরুদ্ধ মাঞ্জা তেমন ধারালো হলে।
কখন সে অঘটন ঘটে গিয়ে আবার পড়বে এসে তৃণদের কাছে, সে ব্যাপারে জুয়াড়িরা বাজি ধরে নাকি।
তাই বলি, সময় থাকতে মাঝে মাঝে মাটি ছুঁয়ো নিজে থেকে তুমি।
‘ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভেসে ঘাসে পড়ে গেলে সে আর ওড়ে না’
আশা করি ভোলোনি সে অরণ্যের প্রাচীণ প্রবাদ।
মাটির দোহাই, নেমে এসো, নেমে এসো, নেমে এসো তাই....


আর্যতীর্থ