।ওরা তেরোজন।


ওরা তেরোজন। একজন বড়। বাকিরা কিশোর।
ওরা তেরোজন। হারিয়ে গিয়েছে গুহার ভেতর।
থাম লুয়াং গুহা। জলে ভরে আছে সব শিরা উপশিরা।
প্রায় দুহপ্তা আঁধার গুহায় ঠায় বসে আছে তারা।


কার দোষ ছিলো? কেনই বা গেলো? সেসব দেখেনি দেশ।
( দোষারোপ করে সময় গেলাটা এদেশের অভ্যেস)।
তৎপর হয়ে এসেছে ডুবুরি। নেভি সিল তার সাথে।
সারা পৃথিবীর গুহাওস্তাদ। কাজ চলে দিনেরাতে।


নেতারা কোথায়? বিরোধীরা কই? কি বলছে সিংহাসন?
কৃতিত্ব চেয়ে ঝান্ডা উড়িয়ে টিভিজুড়ে নেই  ভাষণ।
একজোট সব। একশো ডুবুরি। পাম্প চলে অবিরত।
গুহার ভেতরে গিয়েছেন লোক পাশে দাঁড়াবার মতো।


পরিজন সব? রেগে নির্ঘাত? এতদিন গেলো হয়ে!
(এদেশ হলে তো মিডিয়া বাইটে গালাগালি যেতো বয়ে..)
এখানে সবাই ভরসা করেছে , সামলে রেখেছে মুখ,
মানুষের কাজে ঈশ্বর দেখে খোয়ায়নি আশাটুক।


ওই তেরোজন কোন ধর্মের? কোন ঈশ্বরে বাঁধা?
কিমাশ্চর্যম! প্রশ্ন ওঠেনি তাই নিয়ে কোনো দাদা।
শুক্রবারের নামাজ এবং বুদ্ধের মন্ত্ররা,
একজোট হয়ে একটা চাহিদা। সুস্থ ফিরুক ওরা।


ওরা তেরোজন। ওদের জন্য জেগে আছে থাইল্যান্ড।
আমাদের কাছে পাটায়া ফুকেত। এবং যা কিছু ব্যানড।
এই দেশে হলে এমন কি হতো? মনে জেগে থাকে ভয়।
কেমন যে হতো নানা ঘটনায় রোজ পাই পরিচয়।


আর্যতীর্থ