। অতীতকথন।


আমার ঠাকুর্দা যে অতীত নিয়ে গর্ব করতেন,
আমার বাবা ও কাকা’র স্মৃতিচারণায় তাতে কোনো সংযোজন দেখিনি।
আমিও আমার মেয়েদের এ দেশ মহান বোঝাতে
ফিরে ফিরে যাই স্বাধীনতা পূর্বের মহতী গাথাতে।
কিছু কবি ও সাহিত্যিক বাদ দিলে, বিগত দশকে যারা যুগ-পথে আলোর দিশারী,
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বটে তাঁরা, কিন্তু প্রায়শই ভারতীয় নন।
তাঁদের কথা প্রজন্মকে বলা মানে শিকড়ের গর্ত দেখানো,
ভিন্ন কোনো উর্বর ভূমিতে সেই বিশিষ্ট  মহীরুহগণ তাঁদের প্রখ্যাত শাখাপ্রশাখা বিস্তার করেছেন,
ফুলের সৌরভ বা ফলের পুষ্টি, পুরোটারই দাবীদার অন্য আকাশ।
সুতরাং, ফেরা সেই বিদ্যাসাগর রামমোহনে, ক্ষুদিরাম ও ভগত সিংয়ে,
রবীন্দ্রনাথের নোবেল, বিবেকানন্দর শিকাগো আর সুভাষে’র আজাদ হিন্দে,
আমার পিতামহের মতো , আমারও অতীতকথন আটকিয়ে গেছে।


হে বর্তমান, তুমি অতীত হওয়ার আগে  কিছু  গর্বিত স্মৃতি উপহার দিতে পারো না?


আর কতদিন বুকে পুষে যাবো , ‘ একদা’ মহান থাকা দেশের ধারণা?


আর্যতীর্থ