।পাহাড়।


    ( সুযোগ পেলাম তাঁকে পা ছুঁয়ে প্রণাম করার)


এক পাহাড়ের সামনে দাঁড়ালাম কিছুক্ষণ আগে।
ছোট্টবেলার রঙপেন্সিলে আধো হাতে আঁকা ত্রিকোণ পাহাড়,
মাঝখানে অর্ধবৃত্ত সূর্য,  কমলার ছিটে লাগা অপটু অস্তরাগে
যে স্বপ্নের শুরু, এতদিনে মানে খুঁজে পাওয়া গেলো তার।


এটা কি ভেবেছো, সব ছোটোবেলা ভোরের পাহাড় আঁকে?
সে পাহাড় থেকে  পথ এঁকেবেঁকে ঠিক এক কুঁড়েঘরে থামে,
বড় হতে হতে সাদা কালো দিনে ভুলে যাওয়া সে ঠিকানাকে
কোথাও একটা লুকায় জীবন বিনা জলছাপ খামে।


সে পাহাড়টাতে ভোরের আলোরা চিরদিন বাস করে।
সূর্যোদয়ের সংকেত বুকে বাতিঘর হয়ে জ্বলে থাকে নিশ্চিত,
হেরে যাওয়া মন ক্লান্ত পাদুটো টেনে নিয়ে  যে ম্লান ঘরে
ফেরে, পাহাড়ের ছবি না থাকলে কবেই ঝড় তাকে ভেঙে দিতো!


একটু আগেই তেমন এক পাহাড়ের সামনে নতজানু হলাম
ন্যুব্জ শরীরের অনাপোষী চোখে আজও ভোরের সূর্যের আলো
উদ্ধত অন্যায় বানাতে চাইছে কলম ও জিভকে গোলাম
যখন, আমার শিরদাঁড়া স্নেহের স্পর্শে ফের ঘুরে দাঁড়ালো।


শ্রী শঙ্খ ঘোষ চিরকাল জ্বলে যান স্থির বাতিঘর হয়ে এমন জোরালো..


আর্যতীর্থ