। পাল্টানো ইতিহাস।


ভয়ের কুলুপ আঁটছে মুখে, বস্তুত সে চুপ এখন,
মীরজাফরের ভয়ে আরো কুঁকড়ে যাচ্ছে মীরমদন
ডুকরে যাচ্ছে, প্রতিবাদে যায় না তবু মোহনলাল
নির্বচনের সুযোগ নিয়ে কাটছে কুমীর নিজেই খাল।
নির্বাচনে ভালোর মৌন ডাকছে কালো সর্বনাশ,
গিলছে দেশের আলো রাহু, খুব দূরে নয় পূর্ণগ্রাস।
ইতিহাসের পাতায় পাতায় আমরা-ওরার নখের দাগ
মীরজাফরীর মাছ ঢেকে দেয় ফেক নিউজের কলমিশাগ।


দুই ধর্মের মীর আর মোহন দেশের সেবায় অভিন্ন,
নতুন যুগের ঐতিহাসিক মুছতে থাকেন সে চিহ্ন।
তাঁর কাছে তো ধর্ম আগে, মানুষ আসে অনেক পর
মীরমদনকে মুছে দিয়ে স্পষ্ট করেন মীরজাফর।
অতীত ঘুরে দেখেন যখন দিল্লী বনাম রাজস্থান,
দুজন রাজার যুদ্ধ ছেড়ে লেখেন ধর্ম উপাখ্যান।
রানা প্রতাপ গর্ব দেশের, কিন্তু সে তো আকবরও,
শেষোক্তটি মানতে এখন , আপত্তি হয় তাঁর বড়।
বদলে যাচ্ছে রাস্তার নাম, সেরেফ গলদ যুক্তিতে,
কলম তোলেন ঐতিহাসিক ,ভুলকে ঠিক-এর রূপ দিতে।


সবাই জানে ইতিহাসে তথ্যরা সব সত্য না,
সময় লুকায় নীরবতায় মিথ্যে হবার যন্ত্রণা
কিন্তু সে সব অতীত শতক, দেশ তো একবিংশতে
এখন কেন ভাসতে যাবো পক্ষপাতের বিষস্রোতে?
কেউ যদি চায় আলাদা হোক মোহনলাল আর মীরমদন,
ভেদের বড়ি গিলবো কেন , কিসের এত সম্মোহন?
মীরজাফরের জাত দেখালে, তুললে আঙুল ধর্মে তার,
কেউ তো বলুক জগৎ শেঠও সঙ্গী ছিলো কর্মে তার।
রামধনুকে রংধনুটাও বলতে থাকুক আপত্তি,
নেতারা যা বলে দেবেন মানবো কেন তা সত্যি?


নির্বাচিতের প্রবল ভয়ে আমরা এখন নির্বচন,
সেই সুযোগে আলাদা হন মোহনলাল আর মীরমদন।


আর্যতীর্থ