। পঞ্চাশে পা।


পঞ্চাশ, না চাইলেও দেখতে দেখতে এসে গেলে তুমি অবশেষে
একান্ন’র দিকে যেতে যেতে, এসো কিছু চুক্তিতে সই করা যাক।
বিকেলের সূর্যের থেকে ঠিক কত তাপ পাবো,সেটুকু অজানা জানি।
কিছু প্রতিশ্রুতি তবু,আর কিছু আশা, সময়ের কলমে বৈধতা পাক।


আমার ঈশ্বরেরা আজ বড় নড়বড়ে, রক্ততে চিনি বেশী, কিডনি খারাপ,
চারচোখে জ্যোতি কম, রোজ কিছু ব্যথা বাড়ে পিঠে ও হাঁটুতে,
এক ছাদ, এক বাড়ি, তবু ব্যস্ততা অজুহাতে কথাহীন দিন কেটে যায়,
পঞ্চাশ, তোমার প্রতিটা দিন অন্তত একবার সে বুড়ো বনস্পতিদের ডাল চাই ছুঁতে।


কত কিছু পড়ে আছে আলমারি জুড়ে, সখ করে কেনা ঘড়ি আর সানগ্লাস,
ভালো স্যুট, বেহিসাবী খরচাতে ক্ষমতার বাইরের কেনা জুতোজোড়া,
পরে হবে বলে রেখে রেখে বয়স্ক হয়ে গেছে কালের নিয়মে,
এইবারে তাদেরকে আটপৌরে করে দিয়ে নিয়মিত শুরু হবে পরা।


মোবাইল পেয়েছি হাতে বছর পনেরো, কতটা সময়খাকি তখন বুঝিনি,
কাছের লোকের থেকে ক্রমে ক্রমে দূরে গেছি স্ক্রিন আড্ডাতে,
এবারে ফিরতে চাই চোখে চোখ রেখে সেই মুহূর্ত ভাগকরা জীবনে আবার,
সাথীরা থাকলে কাছে মুঠোফোন আর আমি রাখবো না হাতে।


কিছুটা হিসেবী হবো সময় ও পয়সা খরচে, আগামীতে দুই-ই হবে মহা অকুলান,
তাই বলে জমাবোনা নিজের আনন্দ সব মাটি করে দিয়ে,
কিছু কিছু সখ আছে বুড়ো বয়েসে যারা মিটবার নয়,
সেসব চেষ্টা হবে এক এক করে, আগেভাগে সেটা ভালো রাখা জানিয়ে।


মেটাবো কিছুটা সখ, যাদের কাছের ভাবি এইবারে দিতে চাই তাদের সময়,
বিকেলে সূর্য ঢলে, জীবন যেটুকু বাকি, উচিৎ হবে না সেটা করা অপচয়।


আর্যতীর্থ