। পাঞ্চজন্য নয়।


ভেবেছে কৃষ্ণ সব শঙ্খই পাঞ্চজন্য হবে,
ফুঁ দিলে তাতে আহা ঘন ঘন হরিনাম ফুকরাবে।
বেয়াড়া শঙ্খ কানুর প্রতাপ পাত্তা দেয়নি মোটে,
বেসুর ডাকায় ঘুম ভেঙে তাই কৃষ্ণ গেছেন চটে।


রাখাল কৃষ্ণ মাঠেঘাটে ঘুরে ঘাস আর গরু চেনে,
দিন চলে গেছে ‘রবীন্দ্রনাথ’ কষ্টে বানান জেনে।
বীরভূমি জুড়ে যদিও দাপট, বাঘে গরু একঘাটে,
ছন্দের কথা বলতে শোনেনি তাকে কেউ তল্লাটে।


অনুতে অনুতে সেবা ব্রত ভরে কৃষ্ণ আজকে রাজা,
বিরোধী দেখলে হুংকার দেন ‘ওরে কেউ ঢাক বাজা!’
চড়াম চড়াম সে ঢাকের স্বর পৌঁছায় প্রতি ঘাসে,
ভয়ের জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে নারকীয় সন্ত্রাসে...


চুপ সব্বাই, কবি ও গায়ক, সকলে রাজার দলে,
শঙ্খধ্বনিতে রাজসভা কাঁপে , বিদ্রোহ কথা বলে।
বশংবদ যে পাঞ্চজন্য, এ আওয়াজ তার নয়,
দলিত মথিত না বলা দাবীরা হয়ে ওঠে বাঙ্ময়।


এত যে শাসানি, উন্নয়নের নামে যে হুমকি চাপা,
শঙ্খের ধ্বনি বিদ্রুপ করে দেখায় তা কত ফাঁপা।
শুনেছে কৃষ্ণ শঙ্খের মাঝে সাগরের ঘোষণাকে
হয়তো এবার বদলাবে ঘাস ফের মুষলের ঝাঁকে।


ওই শোনো গণতন্ত্র ফেরাতে শঙ্খ আবার ডাকে...


আর্যতীর্থ