। ফাঁক।


যতটা দুর্গাপুজো ভরা ছিলো এই চারদিনে অনতিঅতীতে,
এখনো কি তাই হয় নাকি?
এত ভিড় , হইচই, থইথই থিম পুজো, তবুও কোথায় যেন রয়ে গেছে ফাঁকি।
পাড়ারা পাল্টে গিয়ে ফ্ল্যাটবাড়ি কমপ্লেক্স, খাওয়াদাওয়া কম্যুনিটি হলেই এখন
কনটেমপোরারি ডান্স ইত্যাদি এসে গিয়ে ধুনুচি নৃত্য করে কুন্ঠিত জীবনযাপন।
আছে হাসি, আছে কথা, শহুরে পালিশ দেওয়া চকচকে ভদ্রতা,
তবুও কি একটা যেন নেই,
বিজয়াতে কেউ আর যায় না পড়শীবাড়ি, কোলাকুলি সেরে ফেলে ফেসবুকেতেই।
অথচ দেখতে গেলে, পুজো আরও আধুনিক ,আরও মন্ডিত আজ শিল্পসুষমায়,
বৈভবে, চাকচিক্যে বা জনসমাগমে, প্রতিটা প্যান্ডেল আজ আর্ট গ্যালারিতে বদলায়।
এখন পুজো খোঁজার অ্যাপ আছে,তৎপর ট্রাফিকের নিয়ন্ত্রণ আরও সুশৃঙ্খল ,
ওলা বা উবের আছে ম্যাজিক কার্পেট হয়ে, রোজ নামে আরও বেশি মানুষের ঢল।
সবকিছুই তো আগের থেকে অনেক বেশি চোখধাঁধানো প্রযুক্তি ও প্রগতিতে ভরপুর,
তবু কেন মনে হয়, মনছোঁয়া ঝংকার তুলছে না আর আজ শারদীয়া সুর?
পুজো ছিলো মিলন সবার সাথে,
ধর্ম এড়িয়ে সবাইকে আহ্বান দুহাত বাড়িয়ে,
পুজো ছিলো আলো আসা, রাজপথে নয় শুধু, কোনাখামচিরও সব চোরগলি দিয়ে।
পুজো ছিলো অঞ্জলি,  কিশোরের ঈপ্সিত চাহনিমিলন,
পুজো মানে ছুটি নিয়ে শহরটা চষে ফেলা বন্ধু কজন।
এত আড়ম্বর আর জৌলুস বুকে নিয়ে এ শহর ঝিকিমিকি জ্বলছে পুজোতে,
কোথায় একটা যেন বেসুরে বাজছে গান, দিচ্ছে না কিছুতেই সেই পুজো হতে।


আর্যতীর্থ