। ফটো।


যে মানুষ কিছুদিন আগে বিষণ্ণ দিনলিপি লিখে যেত একাকী কলমে,
আজ তার হাসিমুখ ফটো ঘিরে কত সাদা ফুলেদের ভিড়।
স্মৃতি শোনবার লোক জীবনের ধারাপাতে সংখ্যায় গিয়েছিলো কমে,
আজ নানা জটলায় মৃদু স্বরে আলোচনা মাইলফলক নিয়ে স্মৃতিসরণীর।
সংসারী ভূমিকারা পর্দানশীন হয়ে ঠেকেছিলো কবে গিয়ে তলানিতে
ছাদের ফুলের টব জানতো জীবন বেশি স্বজনের চেয়ে,
কথোপকথনস্মৃতি শেষদিকে বড় কম জমা হতো দিনের ঝুলিতে
চলমান সিরিয়াল ক্রমাগত বকে যেতো , ভরা বিকেলের থেকে মাঝরাত বেয়ে।
এমন মানুষ থাকে গৃহকোণে পরে থাকা পুরোনো কাপড়ডাঁই দেরাজের মতো,
প্রজন্ম মাঝে মাঝে এসে ব্যস্ত জীবনফাঁকে বুড়ি ছুঁয়ে যায়,
কিনে দেওয়া মুঠোফোন সারাদিন নির্বাক থাকে স্বভাবত,
ছাদে ফোটা ফুলকুঁড়ি , সেটাই বদল শুধু বারোমাস একা লাগা বাঁধা দুনিয়ায়।
তারপর, জানিয়ে বা হুট করে অবশেষে একদিন মানুষটা নেভে।
ফোনালাপ দৌড়ায়, দূর দূর চলে যায় , কোণাখামচিতে যত আছে পরিজন,
কত জন আসবে, বাড়িতেই নাকি কোনো মঠে, প্রজন্ম ব্যস্ত হয় সেই হিসেবে,
সদ্য বাঁধানো এক হাসিমুখ ফটো ঘিরে,শুরু হয় সামাজিক স্মৃতিতর্পণ।


সব কাজ শেষ হলে, প্রজন্ম ফটো নিয়ে ফিরে যায় ঘরে
দেওয়ালে টাঙানো হয়, উৎসবে পার্বণে মালা পায় অবরে সবরে।


আর্যতীর্থ