। পিতা হে।


( ক্ষমা কোরো কবিগুরু)


চিত্ত যেথা ভয়পূর্ণ, লাজে নত শির,
চোরের থেকে সামলাতে জেব গৃহস্থ অস্থির,
জ্ঞান যেখানে হার মেনেছে রূপকথাদের কাছে,
আল্লাহ রামের প্রাচীর তুলে সব নাগরিক বাঁচে,
ধর্ম দিয়ে হত্যা করে পার পেয়ে যায় খুনি,
মরলে রোগে চিকিৎসক হন গ্রেপ্তার তখুনি,
ভোটের মানে যেথায় শুধু মদতী সন্ত্রাস,
রোজ কাগজে কষ্ট বাড়ায় ধর্ষিতাদের লাশ,
দেশের লোকে সম্মুখে না , ‘পিছড়ে’ হতে ছোটে,
উন্নতি নয়, জাতের হিসেব যেথায় জেতায় ভোটে,
গবাদিরা নারীর চেয়ে হয় বেশী সম্মানে,
নাবালিকার অত্যাচারও ধর্ম টেনে আনে,
ধনীর যেথায় জামিন মেলে হাজার অপরাধে,
আদালতের বাইরে বসে কোটি গরীব কাঁদে,
টাকা যেথায় ঈশ্বর আর শিক্ষা আবর্জনা,
মিছিল যেথায় লক্ষ আর চাকরী হাতে গোনা,
যেথা মানুষ নিত্য কমে গিয়ে ধার্মিকেরা  বাড়ে,
উপাসনা যেথায় খুনের কারণ হতে পারে ,
সৌধ গড়ার ব্যয়  বেশি  হয় স্বাস্থ্য গড়ার চেয়ে,
যেথা ভ্রুণের থেকে খুনের  শুরু বাচ্চা হলে মেয়ে,
যেথা  অনায়াসে বধূ জ্বলে সাধ্যাতীত পণে,
যেথা অনন্তকাল বিচার চলে খুন ও  ধর্ষণে,
যেথা চোখ থেকে জল পড়ে কিন্তু চোখ জ্বলে না,
যেথা নেতার ওপরে কারো  কোনো কথা চলে না,
যেথা বেআইনি হতে কোনো লাগেনা বিবেক
যেথা ধর্ম ও রাজনীতি শাসনেশোষণে হয় বস্তুত এক,
একবার বুকে হাত রেখে বলো পিতঃ,
সন্তানকে এ নরক কোনো বাবা দিতো?


আর্যতীর্থ