। পরাধীন।
( এটা একটা স্যাটায়ার কিন্তু...)


ওইখানে বারবার কেন যাও তুমি, কেন কথা বলো ওই পুরুষের সাথে?
একটাই কাঁটাতার পেঁচিয়ে রেখেছি আমি তোমার সীমাতে,
তা ছাড়া চলবে সবই। মলে গিয়ে হাসিহাসি মুখে সেলফির বন্যায় ভেসে যেতে পারো,
ফেসবুকে আড্ডায় বেশী কম লেখো না হাজারো, আমার তো ব্যস এক ছোট্ট চাহিদা, আমায় জানাও
কোথা কোথা যাও আর কার সাথে থাকো, সব কিছু বিস্তারে রোজ বলে দাও,
বোঝোই তো, দিনকাল মোটে ভালো নয়; কাছের বন্ধুরাও ভক্ষক হতে পারে অনেক সময়,
তাই এইটুকু নিয়ম । তোমার কোনো কাজে আমি বাধা দিইনি তো,
আর কেউ হলে পায়ে ঠিক মস্ত বেড়ি পরিয়ে দিতো, এই বলে রাখলাম।কোথাও তোমায় যেতে আমি বারণ করি নাকি?
আমি কেবল পোশাকপরিচ্ছদে একটু নজর রাখি, সমাজ চলতি হয় যেন সে ,সলাজ এবং শালীন,
দুই চক্ষুর বিষ আমার  ফ্যাশান সমকালীন,  এবং আমি এটাও জানি তোমারও তাই হবে,
ভালো নারীর সংজ্ঞা বিচার পালটেছে আর কবে!
অবশ্য খোলসা করে হয়নি কথা এই ব্যাপারে তোমার কি মত,
দ্বিমত কিছু থাকলে পরে সেটাও আমায় বলতে পারো খুলে,
জেনে রাখো, সর্বনাশের আমদানি  হয় খেয়ালখুশীর পোশাক পরার ভুলে।
আমি তোমায় ভালবাসি বলেই জেনো ঢেকে রাখি আমার অধিকারে,
সেখান থেকে উঁকি দিলে, ভয় লেগে যায়, তোমার মনে সূর্যকিরণ লাগতে পারে।
তোমারই তো জীবন এটা, নিশ্চিন্তে যাও না বেঁচে যেমনটি চাও,
আমায় শুধু  ঘন্টা মিনিট মেপে ধরে তোমার বাঁচার হিসেবটি দাও।


আর্যতীর্থ