(কবিতাটি বাবুদের তালপুকুরে হাবুদের ডালকুকুরে ছন্দে আবৃত্তি করলে ভালো লাগবে)


          । লাজুক।


বুঝি না  হাল হকিকত,  কি আছে তোমার মনে
তাই তো মুখ লুকিয়ে,  আছি বসে ঘরের কোনে।
একবার দাওনা বলে, দু ঠোঁটে শব্দ আনো,
কেন যে রোজ মনে হয়, তুমি মন পড়তে জানো।
আমি তো চোখে চোখে, তোমার ওই ঠোঁট ছুঁয়েছি
তোমার ওই ভেজা চুলের, জল দিয়ে গা ধুঁয়েছি।
তুমিও দেখো আমায়, সে নজর বুক ফুঁড়ে যায়
আমি কিছু বলতে গেলেই, জিভটার হুঁশ উড়ে যায়।
আমি শুধু বসেই থাকি, কিছু তুমি বলবে বলে
ভালোবাসা জানতে পাবো, ঠিকঠাক সময় হলে।
লজ্জা নারীর ভূষণ, পুরুষেরও শরম আসে
অথচ জ্বলছো তুমি, নিত্য এই আকাশে।
জানলার খিড়কিদুটোয়, একটু ফাঁক রেখেছি
বারান্দায় দাঁড়ালে যেই,  জেনো আমি ঠিক দেখেছি।
কতবার ভাবতে বসি, এভাবে যায় না চলা,
কত আর সইবো বলো, ছাইচাপা আগুন জ্বলা।
তোমার ওই যাওয়া আসা, সব কিছু মুখস্থ তো
তবু পথে আটকাতে চোখ, বারবার ইতস্তত।
আমার ওই একটাই দোষ, স্কুলেতেও মুখ খুলিনি
উত্তর জানা হলেও, একবারও হাত তুলিনি।
সেখানে বেঁচে যেতাম, লেখা সব  খাতায় হতো
সেরকম প্রেমে হলে, বান্দা বেঁচে যেতো।
এত যে  ভালোবাসি, সবটাই সঙ্গোপনে
কবিতার খাতা ভরে, আছে পড়ে ঘরের কোনে।
এরকমই থাকবো আমি, দেখলেই দুরু দুরু বুক
মুখচোরা বলে লোকে, কিংবা বড্ড লাজুক।
তা বলে করবো না প্রেম, এ আবার কেমন কথা?
ভালোবাসা মানেই বুঝি কথাদের কথকতা?
একটু এগিয়ে এসো, বলে দাও ভালোবাসি
লাজুক এই মুখচোরাটা, হেঁটো তার পাশাপাশি।
এ নিয়ম কে বানালো, কে জানে কোথায় কবে
ভালোবাসি এই কথাটা,  পুরুষেরই বলতে হবে!
ওই চোখে যা পড়েছি, লক্ষ্মীটি দাও তা বলে
দোষ কি এমন বেশী, লাজুকের প্রেমিক হলে?


আর্যতীর্থ