। নীলকণ্ঠ।


অমৃত আর বিষ কি থাকে পিঠোপিঠি? নাকি দুটোর মশলা মাখা একই সাথে,
বদলিয়ে যায় হিসেব করে পেয়ালা কখন কার হাতে?
পেয়ালা যখন ওষ্ঠে আনো হতেও পারে বিষমেশানো,  কি যায় আসে
অমৃততে ভাবনা ঢালো, গরল হঠাৎ অমৃততে বদলে যাবে সে বিশ্বাসে।
এখন যে এই ঘৃণার বিষে হৃৎপিন্ড ফুটছে রাগে, যখন তখন ফাটতে পারে বোমার মত
ভেবেছো কি ওরাও তা চায়, ওদের কাজে তুমিও খেপে পালন করো ঘেন্নাব্রত?
বিষ ধরেছে তোমার ঠোঁটে, হাঁ করিয়ে মুখটা চেপে দিচ্ছে  ঢেলে, মুচড়ে ওঠে পাকস্থলি
চাইছে ওরা ছড়িয়ে যাক, তোমার শিরায় রক্তধারায়,
চাইছে ওরা শামুক থাকি, পাশের বাড়ি এড়িয়ে চলি
আকাশ বাতাস গুমরে উঠে নামতা জপুক অবিশ্বাসের
ধর্ম মেনে রঙ বদলাক ফুল পাখি চাঁদ সবুজ ঘাসের।
ডুবে যাওয়া সহজ খুবই এই গরলে, ঘেন্না করা শিখতে কি আর মগজ লাগে
চোখের সামনে ঘটছে যেটা বোমাগুলিবারুদ মাখা
লাশের সারি,  আপনা থেকেই ঘেন্না জাগে।
কিন্তু যদি তলিয়ে ভাবো, ছ শো কোটির পৃথিবীতে,কতজন আর বেচছে ঘৃণা?
কয়েকজনই জ্বালায় বিষে, বাকিরা যে মিলেমিশে
দিব্যি আছে, সেটার কেন খোঁজ রাখিনা?
ঘৃণা দিয়ে মারছে যারা তাদের যদি উল্টে মারো আপত্তি নেই,
যে চিন্তাতে একটা ধর্মে  মারক বলে ছাপ্পা মারে, আপত্তিটা সে ভাবনাতেই।
ধর্মভেদের আতস কাঁচে কয়েকখানা খুচরো মানুষ লাগছে যেন দুনিয়াজোড়া
অমৃত আন ভাবনাতে তোর, দেখবি কেমন থুবড়ে পড়ে ঘেন্নাবিষের বেতো ঘোড়া।


আর্যতীর্থ