গুজরাটে গোমাতা রক্ষার অজুহাতে  যারা চাবুক খেলেন, এ কবিতা তাঁদের উদ্দেশ্যে।
এই কবিতার অর্ধেক মিল, অর্ধেক অমিল, কিন্তু ছন্দ এক, আমার দেশের মানুষের মত....


            । হড়কাবান।


আমার ঘরের পাশেই নদী,
তিরতিরিয়ে বইছে ধারা
জল তো আছে, কম যদিও
সব নদী কি নাব্য নাকি?


এই নদী নয় চওড়া মোটে
ঝোরা-ও বলে মতান্তরে
ঝুঁকে আসা গাছগাছালি
নদীর বুকে গল্প বলে।


একদিন সেই শীর্ণ নদী
হঠাৎ অকাল বর্ষা পেয়ে
কুল ছাপালো, ফু্ঁসলো যেন
একশো যুগের বন্য রাগে।


যা কিছু সব সামনে পেলো
ভাসিয়ে নিলো কুটোর মতন
শান্ত নদী খেপলে পরে
এমন হবে সবাই জানে।


আমার কথা এবার বলি
গরীব গাঁয়ের এলেবেলে
দেখেও যারা না দেখা হয়
ধাঙর মেথর কিংবা জেলে।


তোমার রোজের কাজের মাঝে
চুপিচুপি লুকিয়ে থাকি
চেহারা কি খেয়াল করো
আমরা তোমায় বাবু ডাকি।


শীর্ণ নদীর মতন সবাই
তিরতিরিয়ে নিজের কাজে
গোরুর নামে কেন বাবু
দিয়েছো পা আমার ল্যাজে?


এবার দেখো বন্যা হবো
দেখি কেমন বাঁচতে পারো
আর কখানা ধাঙর খুঁজে
জাতের চাবুক মারতে পারো।


আর্যতীর্থ