। বর্ষামঙ্গল।


বর্ষা নিয়ে পদ্য বানাও
(বৃষ্টি মিঠে, আহা বৃষ্টি মিঠে)
ছাতা মাথায় প্যান্টও গোটাও
( কাদার ছিটে, ইস কাদার ছিটে!)
মেঘ দেখলেই মন যে ময়ূর
(পেখম তোলো, ও মন পেখম তোলো)
কাদা থাকুক পা থেকে দূর
( নোংরা জলও, দূর হ নোংরা জলও)
বৃষ্টি আসুক আকাশ জুড়ে
( ঝমঝমাঝম, আসুক ঝমঝমাঝম)
আমরা বাপু একটু দূরে
( ইমিউনিটি কম,বড় ইমিউনিটি কম)
যা না বৃষ্টি মাঠে গিয়ে পড়
(শস্য শ্যামল, ধরা শস্য শ্যামল)
শুকনো থাকুক কবির শহর
(না জমে জল, যেন না জমে জল)
বৃষ্টিতে হয় পদ্য ভালো
( ছন্দে সাজাও, ওহে ছন্দে সাজাও)
পথঘাট ভিজে হয় পেছলও
( কোমর বাঁচাও,  তোমার কোমর বাঁচাও)
পদ্যরা সব  বৃষ্টি মাখুক
( বর্ষাগাথা, হোক না বর্ষাগাথা)
মেঘ তবুও দূরেই ডাকুক
( তৈরী ছাতা, রেখো তৈরী ছাতা)
বৃষ্টি বড় বেআক্কেলে
(তফাৎ থেকো, বাপু তফাৎ থেকো)
ও রামধনু, কোথায় গেলে?
(আকাশ দেখো, বর্ষার আকাশ দেখো)
বর্ষা নিয়ে পদ্য কত
(সবাই লেখেন,  সবাই পদ্য লেখেন)
কবিরা কেউ ভেজেননা তো
( ঠেকে শেখেন, সবাই ঠেকে শেখেন)
মেঘ বৃষ্টির কাব্য জমুক
( বেশ লিখেছে, আহা বেশ লিখেছে)
কফির কাপে কবির চুমুক
( বয়েই গেছে, ভিজতে ভারী বয়েই গেছে)
তফাৎ থাকুক তো অন্তত
( আহা তা থাক আহা তা থাক)
দুটোই থাকুক নিজের মতো
( আলাদা থাক, বাবা আলাদা থাক)


আর্যতীর্থ