।মেসেজ।


টুংটাং করে ওই মেসেজে উঠলো জ্বলে মুঠোফোন স্ক্রিন
রমণীর মুখে এলো হাসিরেখা ক্ষীণ।
আওয়াজটা বড় চেনা।বস্তুত, নির্দিষ্ট করা আছে।
এ পুরুষ বড় দামী রমণীর কাছে।
কি লিখেছে সে? ছটফট করে ওঠে রমণীর মন,
রোজ এত কথা তবু মন উচাটন।


কথা কি লিখেছে সে জানা যাবে পরে, আপাতত যাই চলো রমণীর ঘরে।
ছিমছাম ফ্ল্যাটবাড়ি, সুখী গৃহকোণ
সংসারে আপাতত ওরা দুই জন।
রমণী ও তার বর। বছর পাঁচেক আগে ভালবেসে বিয়ে,
মাখো মাখো ভাব আজও দেয় তা জানিয়ে।
এখনো বাইরে গেলে হাতে থাকে হাত,
কফিকাপ হাতে হয় প্রেম দৃকপাত,
সকলেই জানে ওরা খুব, খুব সুখে বাঁচে
দুজনেরই একদল ' কমন ফ্রেন্ড’ আছে।
সারাদিন মুঠোফোনে  টুংটাং ভেসে ওঠে মেসেজের ঝাঁক
চুটিয়ে আড্ডা চলে,  ভাষা নির্বাক।


যার লেখা মনে করে হাসি ফোটে ঠোঁটে
সে কিন্তু রমণীর বর নয় মোটে।
দুজনেরই আছে ঘর, সবার চোখে তারা সুখী সংসারে
অভিনয় আসলে সেটা, ভাগ্যের মারে।
কেন বা কিভাবে,  সেটা থাক গোপনীয়
অন্য কোনো গল্প থেকে সেটা জেনে নিও।
এখন দেখি গে চলো, মুঠোফোনে এসে গেছে কি মেসেজ আজ
হৃদয়ের  স্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছে কেন ফোনের আওয়াজ।


লেখা আছে ভালবাসি প্রিয়া তোমাকে
তোমার কথাই নিশিদিন মনে থাকে
রোজ কথা বলি তবু আরো  মনে জমে থাকে
যেমন বলেছো রোজ, আরও একবার বলো, ভালোবেসেছো আমাকে।
রমণী অমনি লেখে, এ কেমন কথা,
কত যে বেসেছি ভালো,  জানো তুমি তা।
তবুও বলছো বলে, বলছি আবার
তুমি ছাড়া নেই কোনো পুরুষ ভাবার।


ওদিকে অন্য ছবি। রমণীর বর বসে আছে,
প্রাণের বন্ধু তার এসেছিলো কাজে,
ভুল করে মুঠোফোন ফেলে চলে গেছে।
একভাবে বসে আছে,  মনে তোলপাড় তোলা  ফোন হাতে ধরা
উচিৎ ছিলনা তার বন্ধুর ফোন থেকে বউকে মেসেজ করা।
খুব সাবধানে বর ফোন রাখে তুলে
সংসার ভেঙে চুর, বন্ধুর ভুলে।


আর্যতীর্থ