পুনর্মুষিক


আজকে হঠাৎ কি যে হলো, রুটিন কেটে অচিনপথে পা বাড়ালাম
ভয়গুলো সব আঁকড়ে বলে,  এই বয়েসে এমন সাজে?
যেমন ছিলে সেটাই ভালো, মন দাও হে রুটিন কাজে,
তবুও আবার পথিক হতে, উল্টো দিকে দৌড় লাগালাম।


অচেনা পথ প্রশ্ন করে, ব্যাপার কি হে, এই অবেলায় ছুটছো কেন?
যেমন ভাবে  ভ্যাবলা হয়ে দেখছো ঘুরে চতুর্দিকে
পালাচ্ছো যে কিছুর থেকে, হচ্ছে মনে ভাবগতিকে
রকমসকম দেখে তোমার কেমন কেমন লাগছে যেন।


আমি বলি, মানছি বাপু, পুরোটা নয়, কিছু ব্যাপার ধরেছো ঠিক
এক সময়ে এমনি অচিন পথের নেশায় পা বাড়াতাম পথে খালি
সে বহুকাল আগের কথা, ওসব কবে নিলো গিলে নিত্যদিনের গেরস্থালি
ভুলেই গেছি কাজের ঠেলায়  কখনো যে ছিলাম পথিক।


আজ সকালে মনে হলো, কাটছে কি দিন তেমনভাবে যেমনটা চাই?
চেনা কাজের ঘেরাটোপে সুখপেয়ালায় আরামচুমুক দিচ্ছি হেসে
রুটিন কাজের রোজনামচায় থাকবে কিছু বলার মতো বেলাশেষে?
ইচ্ছে হলে আগের মতোই পথিক হতে পারি কিনা, দেখছি সেটাই।


পথ বললো, ছোট্ট একটা ব্যাপার নিয়ে এত কি হে আছে ভাবার?
সোনার তৈরী হলে পরেও সব শিকলেই ঝনঝনি হয় মাঝে মাঝে
একটু আধটু ঘুরেফিরে ঠিক দেখো সেই ফেরত যাবে রুটিন কাজে
পথের নেশা পথেই রেখে নিয়ম মেনে দেখবে মুষিক হবে আবার।


ঝাঁঝিয়ে উঠে বলতে গেলাম, কি সব বকো,আমি অমন নই তা দেখো
পকেট জুড়ে জ্বললো আলো,নজর গেলো চুপ করানো মুঠোফোনে
গিন্নি আছেন অন্যদিকে, সাহসথলি চুপসে গিয়ে মনটা অমনি প্রমাদ গোনে
পথিক হবার নেশায় ইতি, ক্ষান্ত দিয়ে শান্ত মনে এ শর্মা হয় মানে মানে ঘরমুখো।


আর্যতীর্থ