। আশ্বিন।

মেঘবালিকার শ্যামাঙ্গী রং ফুসমন্তরে ফর্সা
এবারের মতো কাজ শেষ করে মেঘ তুলে রাখে বর্ষা।
রোজ রোজ ভেজা পাখিদের দল নিশ্বাস ফেলে স্বস্তির
কবে উড়ে যাবে পেঁজা তুলো মেঘে ভাবনাতে মন অস্থির,
আকাশও একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচে থেমেছে মেঘের কাঁদুনি
এবারে একটু টেনে বাঁধা যাবে নীল জামাটার বাঁধুনি।
আকাশের নীলে সাদা মেঘ মিলে লিখে দেয় এলো আশ্বিন,
খুব কাছাকাছি এসেছে আবার বাঙালীজীবনে খাসদিন।
কাশফুলগুলো ঘাসজমি থেকে ধীরে ধীরে মাথা তুলছে,
নদীর দুপাশে পাড় ধরে যেন দেবীর চামর দুলছে।
পুজো প্যান্ডেলে বাঁশকাজ সারা, মিস্তিরি খাটে রাতদিন,
এফ এম রেডিও রোজ বলে দেয় মা আসতে বাকি কদ্দিন।
গুনতি রেডিও কি আর করবে, গুনতি চলছে ফোনেতে,
যে যেখানে থাক আশ্বিন মাস সব বাঙালীর মনেতে।
বিপণীগুলোতে সাজো সাজো রব ক্রেতাভিড় বাড়ে চারগুণ,
লোভনীয় যত শতাংশ ছাড়ে দোকানী সাজায় তার তূন।
অনলাইনেও  দুদ্দার করে জিনিস বিকোয় হাজারে,
মাসের মাইনে কোতল হবেই পুজোর সাজানো বাজারে।
ঘরকুনো বলে মিছে অপবাদ, পুজোয় বাঙালী বাসহীন,
প্রবাসী বাঙালী তৈরী হয়েছে, ঘরে ডাকে তাকে আশ্বিন।

আর্যতীর্থ