। রুটিন গারদ।

তোমার সময় আমার সময় ভাগ হয়েছে নিক্তি মাপে
আমাদের যে সময় ছিলো হারিয়ে গেছে কাজের ফাঁকে
আছে পড়ে শুকনো হাসি,কিছু কথা  নিয়ম চাপে
অন্য কথা বলতে গেলেই সময়গুলো ফাউল ডাকে।
আজকাল আর তোমার রুটিন কতটুকু জানি আমি?
আমারও যে রোজনামচায় তোমার নামে ফাঁকা খোপই
কিমাশ্চর্যম! দেখা হওয়া, সেটাও এখন রুটিনগামী
বিনরুটিনে সময় দিলে হয়তো হবো ঋণখেলাপী।
অথচ ঠিক দিন শুরু হয় সুপ্রভাতে মুঠোফোনে,
বহুকালের এ অভ্যাসে  একটা দশক পেরিয়ে গেলো
এখনো কি এই মেসেজে বেহাগ বাজে তোমার মনে?
নাকি ঘুমের চোখে ভাবো কাজের রুটিন শুরু হলো?
দিনের শেষে ঘুমের চোখে শুভরাত্রি জানাই যখন,
মুঠোফোনের মিনিট হিসাব  সামনে দেখায় অংক কষে
যতই আমরা মুখে বলি পরস্পরের মন উচাটন,
তোমার আমার মধ্যে এখন পাহাড়প্রমাণ রুটিন বসে।
এই পাহাড়টা ভাঙতে হবে, তুমিও জানো আমিও জানি
রুটিন ভেঙে  বাইরে যেতে আগে কেন ভাবিনি যে
আর কতকাল দুজন বলো টেনে যাবো রোজের ঘানি
সুড়ঙ্গপথ খুঁড়তে হবে তোমায় আমায় নিজে নিজে।
তাই জানালাম কাব্যে তোমায়, পরিখাটার বাইরে এসো
এমন কিছু নয় তা গভীর,  দুজন মিলে ঠিক পেরোবো
সবাই ভাবে টানছি জোয়াল জীবনযাপন  ভালোবেসে
সবাইকে ভুল প্রমাণ করে গারদ ভেঙে পালিয়ে যাবো।

আর্যতীর্থ