। ঈশ্বর নিরুত্তর।

এখানে দিন হয় না, রাত্রিরও প্রবেশ নিষেধ। সময় থমকে আছে অনন্ত অপেক্ষায়।
সুখ,শান্তি,ভালবাসা নুড়িপাথরের মত চলতে চলতে বাজে পায়ে পায়ে।
জায়গাটা স্বর্গ। সেখানে ঈশ্বর থাকেন। সেখানে আজ, দাঁড়িয়ে কেউ,
ছায়া? নাকি খুব চেনা এক কায়া, স্মৃতির গহনে ডুবে জগতপিতার মনে তোলে চেনা ঢেউ?
কে ওখানে? ভগবান হন উচাটন, অবশেষে মুখ খোলে সেই  একজন।
'পিতা, আমি ইভের সন্ততি, আদমের থেকে শুরু বিস্তার যার,
মানুষ আমার নাম, মুঠোতে বেঁধেছি আজ সারা সংসার।
বহু যুগ ধরে মনে প্রশ্ন জমে আছে, বহু ভেবে বহু খুঁজে অধরা উত্তর,
এসেছি তারই খোঁজে। 'ভগবান প্রমাদ গুণলেন।বুঝলেন, উঠবে সে ঝড়,
প্রথম সে পাপে  প্রায় গলাধাক্কা দিয়ে যখন করে দিয়েছিলেন বিদায়
সেই কালমুহূর্ত থেকে ভগবান ভীত এই ঝড়ের আশঙ্কায়।
তবু, জলদমন্দ্র স্বরে বললেন, 'বলো'। মানুষ বলল, 'হে পরমপিতা
তোমার থেকে তো লুকানো থাকেনা কোনো কাজ, চিন্তা বা কথা
তাহলে তোমার অগোচরে  কিভাবে ঢোকে শয়তান তোমারই উদ্যানে?
যে গাছ ভরে আছে জ্ঞানবিষফলে, কেনই বা সেই গাছ শোভা পায় তোমার বাগানে?
স্বর্গ থেকে বিতাড়িত মানব যে হলো, সে কি তাঁর পাপে নাকি তোমারই ইচ্ছায়?'
ঈশ্বর নিরুত্তর।  এ অমোঘ প্রশ্নের হয়তো উত্তর নেই তাঁর কাছে,
নাকি আছে, ভীত তিনি সেটা বলে দিতে, ভক্তকে হারাবার ভয় তাঁরও আছে!
স্বর্গের থেকে ফের ফেরত মানব, আবার প্রশ্ন নিয়ে,  জবাব অধরা
কিছু কিছু উত্তর না জানাই ভালো, ভেবে নিতে হয় কিছু কথা মনগড়া।

আর্যতীর্থ