। তাকায় না রাই।


আজকাল আর আগের মতো তাকায় না রাই। যে ভঙ্গিমায় ভূকম্প হয়, পায়ের তলা দোদুল্যমান,
যে ভঙ্গিমায় মেঘ কেটে যায়, বিষাদ পালায় পাহাড়প্রমাণ, সে ভঙ্গিমায় কপটটরাগে চোখদুটোকে পাকায় না রাই।
তাকায় না রাই।


আজকাল আর বাঁকা হেসে  চাঁদ মাটিতে নামায় না রাই। যে হাসিতে মনখারাপে হাজার চাঁদের আলো জ্বলে, সমস্ত কাজ ভুল হয়ে যায়, বুকের ভেতর স্টিমার চলে, সেই হাসিতে ইচ্ছেগাড়ি লাল নিশানে থামায় না রাই।
তাকায় না রাই।


আজকাল আর সোহাগকথায় ভিসুভিয়াস জাগায় না রাই। একটি কথার ফুলকি ফেলে, একশো মশাল ফেলতো জ্বেলে, এখন কেমন চুপ মেরে যায় তেমন কোনো সুযোগ এলে, এখন তো আর দুষ্টু ছোঁয়ায় একশো ঘোড়া ভাগায় না রাই।
তাকায় না রাই।


আজকাল আর  কাঁকণগুলো তেমন করে বাজায় না রাই। রাইকিশোরী ব্যস্ত মা যে, মেয়েদের নিয়ে নানান কাজে, পিরিতি আর কানুর বাঁশি পাত্তা কি পায় কাজের মাঝে, ফুল দিয়ে আর এলোখোঁপা তেমন করে সাজায় না তাই।
তাকায় না তাই।


আর্যতীর্থ